রূপানুরাগ
নজরুলের রচিত একটি কীর্তন পালা। ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দের ২২ ফেব্রুয়ারি
(১০ ফাল্গুন ১৩৪৭) রাত ৮ থেকে ৮.২৪টা পর্যন্ত এই পালাটি
কলকাতা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত হয়েছিল।
বেতার জগৎ-এর ১২শ বর্ষ ৪র্থ সংখ্যার [পৃষ্ঠা ১৭২] 'আমাদের কথা'
বিভাগে এই কীর্তন-পালা সম্পর্কে লেখা হয়েছিল-
'সাধক কবি নজরুল
ইসলাম কিছুদিন থেকে আমাদের বেতারের অনুষ্ঠানে কীর্ত্তনের আসর পরিচালনা করছেন
অভিনব উপায়ে। তিনি তাঁর স্বরচিত কীর্ত্তন পদাবলী এই
পালাগুলিতে সুসংবদ্ধ করেছেন। গানগুলির সুরেও মাঝে মাঝে যথেষ্ঠ অভিনবত্ব থাকে।
কবি নজরুল ইসলামের বহু সঙ্গীত প্রচলিত-সঙ্গীত-ক্ষেত্রে যেমন অভিনবত্ব দান করেছে,
কীর্ত্তনের ক্ষেত্রেও তাঁর এ বৈচিত্র্য নূতন। আগামী ২২শে ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় ৮টায়
কবি নজরুল ইসলামের রূপানুরাগ শোনবার জন্য আমরা আমাদের শ্রোতৃবৃন্দের মনোযোগ
আকর্ষণ করছি'।
বেতার জগতের এই সংখ্যার
অনুষ্ঠান সূচীতে এই কীর্তন-পালা সম্পর্কে উল্লেখ আছে
সম্প্রচার কেন্দ্র: কলকাতা কেন্দ্র।
সম্প্রচারের তারিখ ও সময়: শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৪১, ১০ ফাল্গুন ১৩৪৭।
সান্ধ্য অনুষ্ঠান ৮.০০-৮.৩৯ মিনিট
সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান: "রূপানুরাগ" পালা-কীর্তন
রচনা: নজরুল ইসলাম
যন্ত্র সঙ্গীত: যন্ত্রী সঙ্ঘ
বর্ণনা: অনিল দাস
খোল বাদক: বিজয় সেনগুপ্ত
সঙ্গীতাংশে: শৈল দেবী, ইলা ঘোষ ও চিত্তরঞ্জন রায়
এই পালায় নজরুলের যে গানটি ব্যবহৃত হয়েছিল, তা হলো-
-
এ কি অপরূপ রূপের কুমার
[তথ্য]
- তোমার মদন মোহন রূপেরই দোষ
[তথ্য]
- শোনালো শ্রবণে শ্যাম শ্যাম নাম (সখি শ্রবণে শোনা)
[তথ্য]
- মণি-মঞ্জির বাজে অরুণিত চরণে
[তথ্য]
- সখি তখন আমার বালিকা বয়স
[তথ্য]
- সে হারাইয়া গেছে
[তথ্য]