বিষয়: নজরুল সঙ্গীত।
শিরোনাম: সখি তখন আমার বালিকা বয়স বেণু শুনেছিনু যবে
তাল: ফের্তা
সখি তখন আমার বালিকা বয়স বেণু শুনেছিনু যবে।
আমি বুঝিনি সেদিন, ডাকে বাঁশুরিয়া আমারেই বেণু রবে,
সখি, আমারেই বেনু রবে॥
তার বাঁশরির সুরে মাঝে মাঝে সখি শিহরিয়া উঠিতাম গো —
মনে হ'ত ঐ সুরের আড়ালে আছে যেন মোর নাম গো।
ডাকিত —
'রাধা জাগো, জাগো প্রিয়া'
হের গো যমুনা তোমার বিরহে উঠিয়াছে উথলিয়া॥
শিহরিত কলেবর, জাগিত ভীতি গো,
ওকি পূর্বানুরাগ, ও কি প্রথম প্রীতি গো। সখি গো
—
সখি, হেরিণু স্বপনে নব জলধর রসে-ঢলঢল কালা
মোর বুকে এসে কাঁদে, বলে লহ, রাধে, কণ্ঠের বনমালা
তার শিরে শিখি-পাখা, চাঁচর চিকুর দোলে কপোলের কাছে লো
দোলে দোলে দোলে দোলে
গো -
সে বাঁশি রেখে পায় মুখপানে চায়, কি যেন ভিক্ষা যাচে॥
আমি দিতে যে নারি লো, যাহা চায় তাহা আমি দিতে যে নারি লো;
ও বোঝে না কুলবতীর কুলের বাধা,
দিতে যে নারি লো, দিতে যে নারি লো॥
-
রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে
কিছু জানা যায় না। ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দের ২২ ফেব্রুয়ারি
(১০ ফাল্গুন ১৩৪৭), কলকাতা বেতারকেন্দ্র থেকে প্রচারিত
'রূপানুরাগ'
নামক কীর্তন-পালা'য় এই গানটি ব্যবহৃত হয়েছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৪১
বৎসর ৯ মাস।
-
বেতার:
রূপানুরাগ।
পালা-কীর্তন। ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দের ২২ ফেব্রুয়ারি (১০ ফাল্গুন ১৩৪৭), কলকাতা-ক এর তৃতীয় অধিবেশনে রাত ৮ টা থেকে ৮.৩৯টা পর্যন্ত প্রচারিত হয়েছিল।
- সূত্র: বেতার জগৎ। ১২শ বর্ষ ৪র্থ সংখ্যার [পৃষ্ঠা
১৭২, ২১০]
- রেকর্ড।
এইচএমভি [এপ্রিল ১৯৪২
(চৈত্র ১৩৪৮-বৈশাখ ১৩৪৯)। এন ২৭২৬৩। শিল্পী: ইলা ঘোষ। সুর: নজরুল ইসলাম]