পূবের হওয়া
বঙ্গীয়
মুসলমান সাহিত্য পত্রিকা'র বৈশাখ ১৩২৭ (৩য় বর্ষ ১ম সংখ্যা) সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল।
পত্রিকাতে কবিতার শিরোনাম ছিল- 'মানিনী বধূর প্রতি'। পক্ষান্তরে 'মানিনী' শিরোনামে
কবিতাটি ১৩৩২ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত '
পূবের হাওয়া' কাব্যগ্রন্থে
অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
কাব্যগ্রন্থ
কাজী নজরুল ইসলাম
মানিনী
মূক করে ওই মুখর মুখে লুকিয়ে রেখো না,
ওগো কুঁড়ি, ফোটার আগেই শুকিয়ে থেকো না!
নলিন নয়ান ফুলের বয়ান মলিন এদিনে
রাখতে পারে কোন সে কাফের আশেক বেদীনে?
রুচির চারু পারুল বনে কাঁদচ একা জুঁই,
বনের মনের এ বেদনা কোথায় বলো থুই?
হাসির রাশির একটি ফোঁটা অশ্রু অকরুণ,
হাজার তারা মাঝে যেন একটি কেঁদে খুন!
বেহেশতে কে আনলে এমন আবছা বেথার রেশ,
হিমের শিশির ছুঁয়ে গেছে হুরপরিদের দেশ!
বরষ পরের দরশনের কই সে হরষণ,
মিলবে না কি শিথিল তোমার বাহুর পরশন?
শরম টুটে ফুটুক কলি শিশির-পরশে
ঘোমটা ঠেলে কুণ্ঠা ফেলে সলাজ হরষে।