বিষয়: নজরুল সঙ্গীত।
শিরোনাম: অবুঝ মোর আঁখি বারি, আমি রোধিতে নারি
রাগ: তিলক
কামোদ
অবুঝ মোর আঁখি
বারি, আমি রোধিতে নারি॥
গ'লেছে যে-নদী জল, কে তারে রোধিতে বল,
পাষাণের সে নারায়ণ তবু সে আমারি॥
-
ভাবসন্ধান: তিন পঙ্ক্তির এই গানটিতে সংক্ষেপে নারায়ণের (বিষ্ণুর) প্রতি
ভক্তের অন্ধভক্ত প্রকাশ পেয়েছে। নারায়ণের প্রেম-করুণা পাওয়ার আশায় ভক্ত ভাবাবেগে
উদ্বেলিত। তাঁকে পাওয়ার আশায়, ভাবাবেগ বরফগলা নদীর জলের মতো তার দুই চোখকে প্লাবিত
করে। পাষাণ বিগ্রহ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত নারায়ণের পাষাণ হৃদয়। হয়তো তার এই ভাবাবেগের
মূল্য বিগ্রহের নেই। কিন্তু এই বিগ্রহের আড়ালে যে নারায়ণ লুকিয়ে রয়েছে- ভক্ত তাঁরই
করুণা পাওয়ার আশায় ব্যথাতুর। ভক্তের কাছে সবশেষে নারায়ণই পরম সত্য। তাই সে
ভাবে যত যাই হোক নারায়ণ তারই।
-
রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে
সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। গানটি
গীতি-শতদল সঙ্গীত
সঙ্কলনের প্রথম সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল ১৩৪১ বঙ্গাব্দের বৈশাখ মাসে (এপ্রিল
১৯৩৪)। এই
সময় নজরুলের বয়স ৩৪ বৎসর ছিল ১১ মাস।
-
গ্রন্থ:
-
গীতি-শতদল
- নজরুল রচনাবলী, জন্মশতবর্ষ সংকলন। পঞ্চম খণ্ড। বাংলা একাডেমী। ঢাকা। জ্যৈষ্ঠ ১৪১৮ মে, ২০১১। গীতি-শতদল।
- নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ [নজরুল ইনস্টিটিউট, মাঘ ১৪১৮। ফেব্রুয়ারি ২০১২।
রাগ: জৌনপুরী, তাল: দাদরা । গান সংখ্যা ১০১৩। পৃষ্ঠা: ৩০৯]
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: ধর্মসঙ্গীত। সনাতন হিন্দু ধর্ম। বৈষ্ণবসঙ্গীত, ভক্তি, নারায়ণ।