বিষয়: নজরুল সঙ্গীত শিরোনাম: আমার সকলি হরেছ হরি এবার আমায় হ’রে নিও
রাগ: আশাবরি, তাল: কাওয়ালি
আমার সকলি হরেছ হরি এবার আমায় হ’রে নিও। যদি সব হরিলে নিখিল-হরণ তবে ঐ চরণে শরণ দিও॥ আমায় ছিল যারা আড়াল ক’রে
হরি তুমি নিলে তাদের হ’রে, ছিল প্রিয় যারা গেল তারা (হরি) এবার তু্মিই হও হে প্রিয়॥
ভাবসন্ধান: এই গানটিতে হরির (বিষ্ণু) পরম ভক্তের আত্ম-নিবেদন উপস্থাপিত হয়েছে।
এই গানের অভিব্যক্তিতে মনে হয়- জীবনসায়াহ্নে এসে ভক্ত দেখেছেন তাঁর আর কোনো
সহায় নেই। এক সময় প্রিয়জনেরা তাঁকে সংসারের মায়ায় বেঁধে রেখেছিল। তাঁর সকল
পার্থিব আকাঙ্ক্ষার মায়া তাঁকে আচ্ছন্ন করে রেখেছিল। সংসারের এ সকল মায়ার আড়ালে
তিনি নিজেকে হারিয়ে ফেলেছিলেন।
অবশেষে হরি তাঁর সকল মায়া হরণ করে, তাঁর আত্মোপলব্ধির দ্বার খুলে দিয়েছেন। সব
হারিয়ে তাঁর কাছে হরি হয়ে উঠেছেন পরমপ্রিয়। তাই সেই হরির কাছেই তিনি নিজেকে
সমর্পণ করে নির্বাণ লাভ করতে চেয়েছেন এই গানে।
রচনাকাল ও স্থান:
গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু
জানা যায় না। ১৯৩১ খ্রিষ্টাব্দের সেপ্টেম্বর (আশ্বিন ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ) মাসে প্রকাশিত
'চন্দ্রবিন্দু' সঙ্গীত-সংকলনে গানটি প্রথম অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময় নজরুল ইসলামের বয়স ছিল ৩২ বৎসর ৪ মাস।
প্রথম সংস্করণ [১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ অক্টোবর (রবিবার ২৭ আশ্বিন
১৩৩৯)। ভজন। জৈনপুরী-তেতাল। পৃষ্ঠা: ৪৬]
রেকর্ড: ১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দের ১২ই ফেব্রুয়ারি [২৯ মাঘ ১৩৩৮]
নজরুলের সাথে এইচএমভির সাথে একটি চুক্তি হয়। এইচএমভি রেকর্ড কোম্পানি গানটির রেকর্ড
করেছিল। তবে শেষ পর্যন্ত গানটি প্রকাশিত হয় নি।