বিষয়: নজরুল সঙ্গীত।
শিরোনাম : কোন্ বন হ'তে করেছ চুরি হরিণ-আঁখি (গো ঐ)
কোন্ বন হ'তে করেছ চুরি হরিণ-আঁখি (গো ঐ)
যেন আননে বেঁধেছে বাসা কানন-পাখি (ভীরু)॥
চুরি করা ঐ নয়ন কি তাই ভয় এত চোখে।
নীল সাগর বলে, ডাগর ও-চোখ আমারি নাকি॥
চিরকালের বিজয়িনী ও-উজল নয়নে।
(তুমি) দু'ধারী তলোয়ার রেখেছ জহর মাখি'
॥
পুড়িল মদন তোমার ঐ চোখের দাহে।
সে গেছে তোমার ঐ চোখে তার ফুল-বাণ রাখি'॥
- ভাবার্থ: এই গানে হরিণের মায়াবী চোখের সৌন্দর্যকে নানা উপমায়
উপস্থাপিত হয়েছে। গানটির স্থায়ী ও প্রথম অন্তারায় কবি তাঁর কল্পলোকের উপমায়
ব্যক্ত করেছেন- যেন বনের ভীরু পাখির বাসার মতো চোখ এনে হরিণের মুখশ্রীতে স্থাপন
করা হয়েছে। তাই হরিণের চোখে এত ভীরুতার প্রকাশ পায়। কবি হরিণের নীল ডাগর চোখের
সাথে নীল-সাগরের বর্ণ-সৌন্দর্যের তুলনা করেছেন, কাব্যিক রহস্যময়তায়। কবি মনে
করেন হরিণের চোখে রয়েছে বিজয়িনীর দীপ্তিময় জ্যোতি। তার চোখের কালো প্রান্তীয়
রেখা যেন প্রেমের বিষমাখানো দুধারী তলোয়ার। যেন প্রেম দেবতাই তার চোখে রেখে গেছে
তার প্রেমের পঞ্চ- ফুলবাণ। তাতে প্রেমদেবতাও যেন ওই চোখের প্রেম-দহনে পুড়ে মরে।
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে
সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না।
১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ অক্টোবর (রবিবার ২৭ আশ্বিন
১৩৩৯) প্রকাশিত 'বনগীতি' গ্রন্থে
গানটি প্রথম অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল। এই
সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৩ বৎসর ৪ মাস।
- গ্রন্থ:
-
বনগীত
- প্রথম সংস্করণ [১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ অক্টোবর (রবিবার ২৭ আশ্বিন
১৩৩৯)]। গজল। জংলা-কার্ফা।
- নজরুল রচনাবলী, জন্মশতবর্ষ সংস্করণ। পঞ্চম খণ্ড।
বাংলা একাডেমী। ঢাকা। জ্যৈষ্ঠ ১৪১৮
মে, ২০১১। বনগীতি। ১৩ সংখ্যক গান। গজল। জংলা-কার্ফা। পৃষ্ঠা ১৮৫]
- নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ [নজরুল ইনস্টিটিউট ফেব্রুয়ারি ২০১২। ১২৩৮ সংখ্যক গান। রাগ: জংলা, তাল: কাহারবা। পৃষ্ঠা:
৩৭৬।
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: প্রকৃতি, জাগতিক, হরিণ