ভাবার্থ: এই গানে শ্রীকৃষ্ণের পার্থিব লীলার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুর
দৈবসত্তার বন্দনা করা হয়েছে। বৈষ্ণবদের মতে কৃষ্ণ পূর্ণাবতার। তাই কৃষ্ণ আর
বিষ্ণু অভিন্ন। এই গানে বিষ্ণু এবং কৃষ্ণের রূপ-বৈচিত্র্যের মহিমা।
তিনি কৃষ্ণরূপে-
চির-কিশোর মুরলিধর কুঞ্জবন-চারী, তিনি গোপনারীদের মনোহরণকারী,
যাঁর বামে অবস্থান করেন প্রেয়সীরূপিণী রাধা। তিনি গোপালক হয়ে গোষ্ঠে বিহার করেন,
আবার কখনো দানবার (দানবের অরি, দানবের শত্রু) হয়ে আবির্ভূত হন। ব্রজের
তাল-তমাল নীপ (কদম)বনে গোপবধূদের সাথে তিনি লীলায় মেতে ওঠেন। বিষ্ণুরূপেই তিনি-
মধুকৈটভের শত্রু রূপে যুদ্ধে মাতেন। তিনি কংসকে বিনাশ করেন জগতের কল্যাণে।
কুরু-পাণ্ডবের যুদ্ধের প্রারম্ভে তিনি গীতার পরমদর্শন দান করেন। আবার তিনি শিরে
ময়ুরের পাখা ধারণ করে হয়ে ওঠেন ব্রজলীলার প্রধান পুরুষ।
রচনাকাল ও স্থান:
গানটির রচনাকাল সম্পর্কে
সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। গানটি
গীতি-শতদলসঙ্গীত
সঙ্কলনের প্রথম সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল ১৩৪১ বঙ্গাব্দের বৈশাখ (এপ্রিল
১৯৩৪) মাসে। এই
সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৪ বৎসর ১১ মাস।