বিষয়: নজরুল সঙ্গীত।
শিরোনাম: (ওমা) দুঃখ-অভাব-ঋণ যত মোর (শ্যামা) রাখলাম তোর পায়ে
(ওমা) দুঃখ-অভাব-ঋণ যত মোর (শ্যামা) রাখলাম তোর পায়ে।
(এবার) তুই দিবি মা, ভক্তের তোর সকল ঋণ মিটায়ে॥
মাগো সমন হাতে মোর মহাজন
ধরতে যদি আসে এখন,
তোরই পায়ে পড়বে বাঁধন ছেলের ঋণের দায়ে॥
ও মা সুদ আসলে এ সংসারের বেড়েই চলে দেনা,
এবার ঋণ মুক্তির তুই নে মা ভার, রইব তোরই কেনা।
আমি আমার আর নহি ত
(আমি) তোর পায়ে যে নিবেদিত,
এখন তুই হয়েছিস্ জামিন আমার দে ওদের বুঝায়ে॥
- পাঠভেদ:
- ওমা দুঃখ অভাব ঋণ যত মোর [নজরুল সঙ্গীত সংগ্রহ]
আমার ঋণের বোঝা শ্যামা [হারানো গানের খাতা]
-
ভাবসন্ধান: এই গানটির মাধ্যমে ভক্ত নিজেকে সম্পূর্ণ রূপে মাতৃরূপিণী
শ্যমার কাছে নিজেকে সম্পর্ণ করেছেন সন্তানের ভক্তি ও করুণায়। জাগতিক
দুঃখ-হরণকারিণী-রূপিণী শ্যামার কাছে প্রার্থনা হয়ে উঠেছে নিতান্তই
আত্ম-মঙ্গলার্থক। তাই ভক্ত তাঁর সকল দুঃখ-অভাবকে ঋণ হিসেবে মাতৃরূপিণী দেবীর
পায়ে অর্পণ করেছেন। এই ঋণ হলো- সংসারের সকল কর্তব্য অবহেলা, পাপে নিমজ্জিত
হওয়ার দায়। তাই এই ঋণগ্রস্থ ভক্তের কাছে যদি মন-মহাজন মৃত্যদূত হয়ে আসে, তখন
সন্তানের ঋণের দায়ে দেবী দায়ী হবেন।
ভক্ত তাঁর ঋণ মুক্তির ভার দেবীকে দিয়েছেন। বিনিময়ে ভক্ত মায়ের কৃতদাস হয়ে রইবেন।
কারণ দেবীর কাছে নিজেকে সমর্পণের মধ্য দিয়ে ভক্ত দেবী, দেবীতে বিলীন হয়ে যাবেন।
তাই ভক্তের সকল ঋণের জামিনদার হবেন দেবী।
-
রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে
সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দে ১৮ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার, ১ আশ্বিন ১৩৪১ বঙ্গাব্দ), এইচএমভি
রেকর্ড কোম্পানির সাথে কয়েকটি গান প্রকাশের জন্য নজরুলের একটি চুক্তি হয়। এই
চুক্তিপত্রে এই গানটির উল্লেখ ছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৬ বৎসর ৪ মাস।
- গ্রন্থ:
- নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ, [নজরুল ইনস্টিটিউট, মাঘ ১৪১৮।
ফেব্রুয়ারি ২০১২। ১৩০৮ সংখ্যক গান।
রাগ: ভৈরবী। পৃষ্ঠা: ২৯৬।
-
নজরুলের হারানো গানের খাতা
[নজরুল ইনস্টিটিউট, ঢাকা। আষাঢ় ১৪০৪/জুন
১৯৯৭। গান সংখ্যা ১৩২। for
Inati Jaill Dutt। শ্যামা-সঙ্গীত। পৃষ্ঠা
১৫৯।]
- রেকর্ড:
এইচএমভির
সাথে চুক্তিপত্র। [১৮ সেপ্টেম্বর ১৯৩৫ (বুধবার, ১ আশ্বিন ১৩৪২)
- পর্যায়
- বিষয়াঙ্গ: ধর্মসঙ্গীত। সনাতন হিন্দুধর্ম। শাক্ত। শ্যামা। আত্মসমর্পণ