বিষয়: নজরুল সঙ্গীত।
শিরোনাম: কদম কেশর পড়ল ঝরি
কদম কেশর পড়ল ঝরি তখন তুমি এলে।
বাদল মেঘে গগন ঘেরি ঝড়ের কেতন মেলে॥
ঝরিয়ে বন-কেয়ার রেণু
বজ্ররবে বাজিয়ে বেণু,
বৃষ্টি ভেজা দুর্বা দ'লে অরুণ-চরণ ফেলে॥
নদীর দু'কূল ভাঙল যবে অধীর স্রোতের জলে,
তখন দেখি হে অশান্ত তোমার তরী চলে।
যূথীর নীরব অশ্রু ঝরে
শ্যামল তোমার চরণ 'পরে,
আকাশ চাহে তোমার পথে তড়িৎ প্রদীপ জ্বেলে॥
- ভাবার্থ: আগমনের প্রতীক্ষায় থেকে অভিমানী কদম-কেশরের রেণু যখন ঝরে গেছে- সেই সময় বর্ষা
এসেছে- ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ আকাশকে আবৃত করে বাদল মেঘের নিশানা উড়িয়ে। এই গানটিতে কবি
'সময় পেরিয়ে যাওয়া' আগত বর্ষাকে উপস্থাপন করেছেন- 'সময়ে না আসা'র অভিমানে।
অবশেষে বর্ষা এসেছে- বন-কেয়ার রেণু ঝরিয়ে, বজ্ররবে বর্ষার বাঁশি বাজিয়ে, বৃষ্টি ভেজা দুর্বা দ'লে
তার অরুণ-চরণ ফেলে। দুকুল প্লাবনের আকাঙ্ক্ষায় ছিল নদী। কিন্তু অধীর প্রতীক্ষায়
থেকে থেকে তার দু'কূল ক্ষয়ে গেছে অধীর স্রোতের জলে। সেই সময় ব্র্ষা এসেছে
তার অশান্ত স্রোতধারা নিয়ে। সেখানে এখন প্লাবিত স্রোতধারায় বর্ষার তরণী বয়ে
চলেছে। অভিমানে যূথীর নীরব অশ্রু ঝরে বর্ষার শ্যামল চরণে। এখন আকাশ তার তড়িৎ প্রদীপ জ্বেলে-
বরষার আগমনের পথরেখা দেখে॥
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই (আষাঢ়-শ্রাবণ ১৩৪৩) মাসে, টুইন রেকর্ড কোম্পানি এই গানটির প্রথম রেকর্ড প্রকাশ করেছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৭ বৎসর ১ মাস।
- গ্রন্থ: নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ (নজরুল ইন্সটিটিউট, মাঘ, ১৪১৭ / ফেব্রুয়ারী,২০১১) নামক গ্রন্থের
১৩৫১ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ৪০৯।
- রেকর্ড: টুইন [জুলাই ১৯৩৬
(আষাঢ়-শ্রাবণ ১৩৪৩)। এফটি ৪৪৭১। শিল্পী: গীতা বসু।
- সুরকার: নজরুল
ইসলাম
- স্বরলিপিকার ও স্বরলিপি:
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: প্রকৃতি [বর্ষা]
- সুরাঙ্গ: স্বকীয় বৈশিষ্ট্যের সুর
- তাল:
দাদরা
- গ্রহস্বর: রা