বিষয়: নজরুল সঙ্গীত।
শিরোনাম: তুমি কোন্‌ পথে এলে হে মায়াবী কবি

   তুমি   কোন্‌ পথে এলে হে মায়াবী কবি
           বাজায়ে বাঁশের বাঁশরি।
  এলো   রাজ-সভা ছাড়ি' ছুটি,
           গুণিজন তোমার সে সুরে পাশরি'॥
তোমার   চলার শ্যাম-বনপথ
            কদম-কেশর-কীর্ণ,
    তুমি   কেয়ার বনের খেয়াঘাটে হলে
            গোপনে কি অবতীর্ণ?
    তুমি   অপরাজিতার সুনীল মাধুরী
            দু'চোখে আনিলে করিয়া কি চুরি?
তোমায়   নাগ-কেশরের ফণি-ঘেরা মউ
            পান করাল কে কিশোরী?
            জনপুরী যবে কল-কোলাহলে
            মগ্নোৎসব রাজ সভাতলে,
    তুমি   একাকী বসিয়া দূর নদী-তটে
            ছায়া-বটে বাঁশি বাজালে,
    তুমি   বসি' নিরজনে ভাঁট ফুল দিয়া
            বালিকা বাণীরে সাজালে॥
    যবে   রুদ্র আসিল ডম্বরু-করে
            ত্রিশূল বিঁধিয়া নীল অম্বরে,
    তুমি   ফেলিয়া বাঁশরি আপনা পাশরি,
            এলে সে-প্রলয় নাটে গো,
    তুমি   প্রাণের রক্তে রাঙালে তোমার
            জীবন-গোধূলি পাটে গো॥
            হে চির-কিশোর, হে চির-তরুণ,
            চির-শিশু চির-কোমল করুণ।
            দাও অমিয়া আরো অমিয়া,
    দাও   উদয়-ঊষারে লজ্জা গো তুমি
            গোধূলির রঙে রঙিয়া।
            প্রখর রবি-প্রদীপ্ত গগনে,
            তুমি রাঙা মেঘ খেল আন্‌মনে,
            উৎসব-শেষে দেউলাঙ্গনে
            নিরালা বাজাও বাঁশরি,
    আমি   স্বপন-জড়িত ঘুমে সেই সুর
            শুনিব সকল পাশরি'॥