বিষয়: নজরুল সঙ্গীত।
শিরোনাম: নবীন বসন্তের রানী তুমি গোলাব-ফুলী রঙ
	
    তাল কাহারবা
পুরুষ		:     নবীন বসন্তের রানী তুমি গোলাব-ফুলী রঙ।
স্ত্রী		:         তব অনুরাগের রঙে আমি উঠিয়াছি আজ রেঙে
						             
						প্রিয় এই অপরূপ ঢঙ॥
পুরুষ		:     পলাশ কৃষ্ণচূড়ার কলি
			             
			রাঙা ও-পায়ে এলে কি দলি’?
স্ত্রী		:         বেয়ে প্রেমের পথের গলি
			             
			এলাম কঠোর হৃদয় দলি’,
			             
			হের পায়ে তাহারি রঙ॥
পুরুষ		:     হায়, হৃদয়-হীনা হৃদয়-সাথি হয় না তা জানি,
			             
			অবুঝ হৃদয় তবু চাহে তায় জানে সে-পাষাণী।
স্ত্রী		:         ধরিয়া পায়ে প্রেম জানায়ে
			              
			যাও পালায়ে শেষে কাঁদায়ে
			              
			কাঁদাই যতই, কাঁদি যে ততই;
পুরুষ		:      বায়ু কেঁদে যায় ফুল ঝরায়ে।
স্ত্রী		:          না, না, যাও যাও মন চেয়ো না
			               
			গন্ধ লহ, ফুল চেয়ো না;
			               
			আছে কাঁটা ফুলের সঙ্গ॥
উভয়ে		:      যাই চল সেই কাননে
			               
			নাই কাঁটা ফুলের সনে
			               
			যথা নাই বিরহ, শুধু মিলন॥
	
- রচনাকাল ও স্থান:  গানটির রচনাকাল সম্পর্কে 
		সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৩৪ বঙ্গাব্দের জানুয়ারি মাসে  (পৌষ-মাঘ 
		১৩৪০) এইচএমভি রেকর্ড কোম্পানি থেকে গানটির প্রথম রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছিল। এই 
		সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৪ বৎসর ৭ মাস।
- গ্রন্থ:
	- 
	গীতি-শতদল।
	
		- প্রথম সংস্করণ [বৈশাখ ১৩৪১। এপ্রিল ১৯৩৪। দ্বৈত গান]।
- নজরুল রচনাবলী, পঞ্চম খণ্ড [বাংলা একাডেমী। জ্যৈষ্ঠ ১৪১৮ মে, ২০১১ 
			। গীতি-শতদল। গান সংখ্যা ৮৯। দ্বৈত গান। পৃষ্ঠা 
					৩৩৫-৩৩৬] 
 
- নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ [নজরুল ইনস্টিটিউট ফেব্রুয়ারি ২৩১৯। গান সংখ্যা 
				১৫০৬। তাল: কাহারবা। পৃষ্ঠা: ৪৫২]
 
- রেকর্ড: 
এইএমভি [জানুয়ারি ১৯৩৪ (পৌষ-মাঘ ১৩৪০)। এন ৭১৮৯ শিল্পী: 
			গিরীন চক্রবর্তী ও হরিমতী। ]
- স্বরলিপি ও স্বরলিপিকার:
আহসান মুর্শেদ 
	[নজরুল সঙ্গীত স্বরলিপি,
	একচল্লিশতম খণ্ড, অগ্রহায়ণ ১৪২৪] গান সংখ্যা ৯। পৃষ্ঠা: ৪৭-৫০  [নমুনা]
 
- পর্যায়:
	- বিষয়াঙ্গ: প্রেম
- সুরাঙ্গ: স্বকীয় বৈশিষ্ট্যের সুর [দ্বৈত সঙ্গীত]