বিষয়:
নজরুল সঙ্গীত।
শিরোনাম :
ঘেরিয়া গগন মেঘ আসে
ঘেরিয়া গগন মেঘ আসে।
বিহ্বল ধরণী,
দশ দিশি কাঁপে তরাসে॥
বিদ্যুৎ ঝলকে,
ঝামর অলকে,
ঝমঝম ঝাঁঝর
বাজে ঘন আকাশে॥
শিখী নাচে হরষে
বারিধারা বরষে,
চাতক চাতকী
পাগল পিয়াসে॥
- ভাবারত্থ: এই গানটিতে বর্ষার মেঘের ভয়ঙ্কর-সুন্দর রূপকে নানা
রূপকল্পে উপস্থাপন করা হয়েছে। আকাশ আবৃত করে বরষা-মেঘের আগমনে ধরিত্রী ভয়ে
বিহ্বল হয়ে যায়। দশ দিক কম্পিত করে আকাশের গায়ে দেখা দেয় সে ভয়াল রূপে। বিদ্যুৎ
ঝলকে, ঝামর অলকে (বিবর্ণ কেশরাশি), মেঘাবৃত আকাশ প্রকম্পিত হয় ভয়ঙ্কর
ঝমঝম ঝাঁঝরের ধ্বনিতে। বর্ষার এই ভয়ঙ্কর রূপের ভিতরেই কবি দেখতে পান
ধরিতণীর বুলে সুন্দরের প্রকাশ। মেঘের ভয়ঙ্কর ছন্দে নামে বর্ষার বৃষ্টি। সে
ছন্দের আনন্দে তার সাথে নাচে ময়ূর। পিপাসিত চাতক চাতকী তৃষ্ণা নিবারণের আনন্দে
করে অস্থির উন্মাদনায় মেতে ওঠ॥ ভয়ঙ্কর রূপের মাঝে সুন্দরের প্রকাশে, প্রকৃতি হয়ে
উঠেছে ভয়ঙ্কর সুন্দর ।
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৩৩৬ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ (ডিসেম্বর ১৯২৯) মাসে প্রকাশিত 'চোখের চাতক' সঙ্গীত-সংকলনে
গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩০ বৎসর ৬ মাস।
- গ্রন্থ
-
চোখের চাতক
- প্রথম সংস্করণ [অগ্রহায়ণ ১৩৩৬ (ডিসেম্বর ১৯২৯)। গান ৩৮। মেঘ রাগ-
ত্রিতালী (দ্রুতগতি)]
- নজরুল-রচনাবলী, দ্বিতীয় খণ্ড [বাংলা একাডেমী, ফাল্গুন ১৪১৩। ফেব্রুয়ারি ২০০৭। চোখের চাতক। গান ৩৮।
মেঘ রাগ- ত্রিতালী (দ্রুতগতি)। পৃষ্ঠা: ২২০]
-
নজরুল-গীতিকা।
- প্রথম সংস্করণ [ভাদ্র ১৩৩৭ বঙ্গাব্দ। ২ সেপ্টেম্বর ১৯৩০। খেয়াল। মেঘ রাগ- ত্রিতালী (দ্রুতগতি। পৃষ্ঠা ১৪৬]
- নজরুল রচনাবলী, জন্মশতবর্ষ সংস্করণ। তৃতীয় খণ্ড [বাংলা একাডেমী, ঢাকা
ফাল্গুন ১৪১৩/মার্চ ২০০৭।] নজরুল গীতিকা। খেয়াল । ১২১। মেঘ রাগ- ত্রিতালী (দ্রুতগতি)। পৃষ্ঠা:
২৫৫]