বিষয়: নজরুল সঙ্গীত।
শিরোনাম: ভোরের হাওয়া! ধীরে ধীরে বলো গো সেই হরিণীরে
রাগ: পিলু। তাল: কাওয়ালি
ভোরের হাওয়া! ধীরে ধীরে বলো গো সেই হরিণীরে।
আর কত দিন দিশাহারা ঘুরব একা মরুর তীরে॥
মিষ্টি চিনির পররিণীর হৃদয় কেন কষায় হেন,
এই চিনি-খোর তুতীর পানে কেন গো সে চায় না ফিরে॥
গোলাব লো! তোর রূপের গরব দেয় না বুঝি জিজ্ঞাসিতে,
প্রণয়-পাগল বুলবুলি তোর ভাসে কেন অশ্রু-নীরে॥
চতুর নিষাদ শিকার করে প্রণয়ীরে মুখের মিঠায়,
চপল পাখি ধরতে সে গো বিছায় না জাল আকাশ ঘিরে॥
বঁধুর পাশে বসে তোমার ঢাল্বে যেদিন রঙীন শারাব
স্মরণ ক’রো রূপসী, এই উপোসী-মন দূর সাথীরে॥
শেয়র : সরল-তনু, কাজল-আঁখি, চাঁদের মালা ললাট-কূলে -
রঙীন্ প্রেমের লাগল না রঙ কেন গো সে রূপের ফুলে।
তোমার রূপের চাঁদে, প্রিয়, এই শুধু কলঙ্ক-লেখা -
মধুর রূপের কাননে নাই বিধুর প্রেমের কুহু কেকা!
হাফেজী এই গজল যদি পৌছে আকাশ, নয সে কিছু,
গাইবে সে গান
'জোহরা' তারা, নাচবে
'ঈশা' সে সুর মীড়ে॥
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না।
১৩৩৭ বঙ্গাব্দের ভাদ্র মাসে প্রকাশিত 'নজরুল গীতিকা' গ্রন্থে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩১ বৎসর ৩ মাস। ওমর খেয়ামের দুটি রুবাই- নিয়ে এই গানটি তৈরি
করা হয়েছিল।
- গ্রন্থ:
-
নজরুল-গীতিকা
- প্রথম সংস্করণ [ভাদ্র ১৩৩৭ বঙ্গাব্দ। ২ সেপ্টেম্বর ১৯৩০।
দীওয়ান-ই হাফিজ গীতি। ৩। পিলু-কাওয়ালী। পৃষ্ঠা ১১ ]
- নজরুল রচনাবলী, জন্মশতবর্ষ সংস্করণ। তৃতীয় খণ্ড [বাংলা একাডেমী,
ঢাকা ফাল্গুন ১৪১৩/মার্চ ২০০৭] নজরুল গীতিকা। দীওয়ান-ই হাফিজ
গীতি। ১১। পিলু-কাওয়ালী। পৃষ্ঠা: ১৭৬-১৭৭]