বিষয়: নজরুল সঙ্গীত।
শিরোনাম: দোষ দিয়ো না প্রবীণ জ্ঞানী
রাগ: ভৈরবী। তাল: আদ্ধা কাওয়ালি
দোষ দিয়ো না প্রবীণ জ্ঞানী হেরি' খারাব শারাব-খোর।
তাহার যে পাপ তারি একার, হয় না লেখা নামে তোর॥
মন্দ ভালো যা হই আমি, তুই করে যা কাজ আপন,
কাট্ব তাহাই- যে ফসলের বীজ বুনেছি ক্ষেত্রে মোর॥
হউক মসজিদ হউক মন্দির প্রেমের গতি সবখানেই,
গাইছে একই প্রেমের গীতি- কেউ সজাগ কেউ নেশায় টোর॥
জন্মদিনের ললাট-লেখা হবেই হবে পূর্ণ মোর,
কেউ জানে না পর্দা-আড়ে আলোক না সে আঁধার ঘোর॥
শেয়র : ভেঙেছি দ্বার, ফিরব না আর পুণ্যশালার জেল-খানায়,
আদিম পিতা আদামও ত স্বর্গ পেয়ে ছাড়ল তায়।
পুণ্যফলের ভরসা করে কাটিয়ো না কেউ বৃথাই কাল,
তোমার ললাট-লেখার বন্ধু, তুমিই নহ ওয়াকিফ্-হাল।
বেহেশ্তের ঐ কুঞ্জ-কানন মধুর, তবু হুঁশিয়ার!
ঝাউ-এর ছায়া, তরীর কিনার – তাই নিয়ে থাক্ সুখ-বিভোর॥
মরণ-ক্ষণে যদি, হাফিজ, রয় হাতে তোর শারাব-জাম
মলিন ধরা হতে তোরে তুরন্ত্ নেবে বেহেশ্ত-দোর॥
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না।
১৩৩৭ বঙ্গাব্দের ভাদ্র মাসে প্রকাশিত 'নজরুল গীতিকা' গ্রন্থে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩১ বৎসর ৩ মাস। ওমর খেয়ামের দুটি রুবাই- নিয়ে এই গানটি তৈরি
করা হয়েছিল।
- গ্রন্থ:
-
নজরুল-গীতিকা
- প্রথম সংস্করণ [ভাদ্র ১৩৩৭ বঙ্গাব্দ। ২ সেপ্টেম্বর ১৯৩০। দীওয়ান-ই
হাফিজ গীতি। ৭। গারা-ভৈরবী- আদ্ধাকাওয়ালী। পৃষ্ঠা ১৫ ]
- নজরুল রচনাবলী, জন্মশতবর্ষ সংস্করণ। তৃতীয় খণ্ড [বাংলা একাডেমী, ঢাকা
ফাল্গুন ১৪১৩/মার্চ ২০০৭] নজরুল গীতিকা। দীওয়ান-ই হাফিজ গীতি। ১৫।
খাম্বাজ-পিলু- পোস্তা। পৃষ্ঠা: ১৭৯]