বিষয়: নজরুল সঙ্গীত।
শিরোনাম: দোষ দিয়ো না প্রবীণ জ্ঞানী
রাগ: ইমন মিশ্র। তাল: কাওয়ালি
চাঁদের মতন রূপ পেল রূপ তোমার রৌশন্ রূপ-বিভায়।
অপরূপ সে হল তোমার চিবুক গালের টোল খাওয়ায়॥
তোমার রূপের পিয়াসি প্রাণ এলো হের অধর-তীর,
জানাও আদেশ ফিরুক সে প্রাণ, নয় বুঝি সে ছেড়ে যায়॥
শেয়র : কখন মঞ্জুর হবে, প্রভু, এই ব্যথিতের আর্জি পেশ।
কোন্ মোহনায় এক হবে মোর হৃদয় ও তার আকুল কেশ।
নাই গো তাহার শান্তি ও সুখ হের্ল যারে ঐ আঁখি,
তাহার চেয়ে চটুল ও-চোখ পর্দাতেই রাখ ঢাকি'।
রক্ত-রাঙা পথ হতে মোর বাঁচিয়ে চ'লো নীল আঁচল,
তোমার প্রেমের শহীদ অনেক রাঙিয়েছে ঐ পথতল।
ফুল্লমুখী ফুলের তোড়া পাঠিয়ে দিও ভোর-বায়ে,
তোমার দেশের ফুল-কাননের গন্ধ পাব সেই হাওয়ায়॥
প্রার্থনা তার জানায় হাফিজ – শুননেওয়ালা কও, 'আমীন!'
প্রিয়া আমার মৌ-মিঠে তার চূণীর ঠোঁটের চুম বিলায়॥
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না।
১৩৩৭ বঙ্গাব্দের ভাদ্র মাসে প্রকাশিত 'নজরুল গীতিকা' গ্রন্থে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩১ বৎসর ৩ মাস। ওমর খেয়ামের দুটি রুবাই- নিয়ে এই গানটি তৈরি
করা হয়েছিল।
- গ্রন্থ:
-
নজরুল-গীতিকা
- প্রথম সংস্করণ [ভাদ্র ১৩৩৭ বঙ্গাব্দ। ২ সেপ্টেম্বর ১৯৩০। দীওয়ান-ই
হাফিজ গীতি। ৮। ইমন-মিশ্র- কাওয়ালী। পৃষ্ঠা ১৬ ]
- নজরুল রচনাবলী, জন্মশতবর্ষ সংস্করণ। তৃতীয় খণ্ড [বাংলা একাডেমী, ঢাকা
ফাল্গুন ১৪১৩/মার্চ ২০০৭] নজরুল গীতিকা। দীওয়ান-ই হাফিজ গীতি। ১৬।
ইমন-মিশ্র- কাওয়ালী। পৃষ্ঠা: ১৭৯-১৮০]