বিষয়: নজরুল সঙ্গীত।
শিরোনাম:
আসিলে কে গো অতিথি উড়ায়ে নিশান সোনালী !
রাগ : ভৈরবী, তাল : কাহারবা
আসিলে কে গো অতিথি উড়ায়ে নিশান সোনালী !
ও চরণ ছুঁই কেমনে দুই হাতে মোর মাখা যে কালি॥
দখিনের হালকা হাওয়ায় আসলে ভেসে সুদূর বরাতী !
শবে'রাত আজ উজালা গো আঙিনায় জ্বলল দীপালি॥
তালি-বন ঝুমকি বাজায় গায় 'মোবারক-বাদ' কোয়েলা।
উলসি' উপচে প'ল পলাশ-অশোক-ডালের ঐ ডালি॥
প্রাচীন ঐ বটের ঝুরির দোলনাতে হায় দুলিছে শিশু।
ভাঙা ঐ দেউল-চূড়ে উঠ্ল বুজি নৌ-চাঁদের ফালি॥
এলো কি অলখ্-আকাশ বেয়ে তরুণ হারুণ-আল্-রশীদ।
এলো কি আল্-বেরুণী, হাফিজ, খৈয়াম, কায়েস, গাজ্জালী॥
সানাইয়াঁ ভয়্রোঁ বাজায়, নিদমহলায় জাগ্ল শাহজাদী।
কারুনের রূপার পুরে নূপুর-পায়ে আস্ল রূপ-ওয়ালী॥
খুশির এ বুলবুলিস্তানে মিলেছে ফরহাদ ও শিঁরি।
লাল এ লায়লি-লোকে মজনুঁ হর্দম চালায় পায়ালী॥
বাসিফুল কুড়িয়ে মালা না-ই গাঁথিলি রে ফুল-মালি।
নবীনের আসার পথে উজাড় করে দে ফুল-ডালি॥
- রচনাকাল
ও স্থান: মুসলিম সাহিত্য সমাজের আমন্ত্রণে, এই সমাজের প্রথম বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন করতে নজরুল ঢাকায় যান। এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন সঙ্গীত হিসেবে ঢাকায় যাওয়ার পথে পদ্মার বুকে স্টীমারে বসেই ১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দের ২৭শে ফেব্রুয়ারি (১৫ ফাল্গুন, ১৩৩৩ বঙ্গাব্দ) কবি রচনা করেন এই গানটি। জিঞ্জীর কাব্যগ্রন্থে গানটি 'খোশ আমদেদ' শিরোনামে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। গানটির সাথে রচনার স্থান ও তারিখ উল্লেখ আছে- 'পদ্মা/২৭-২-২৭'। [(রবিবার, ১৫ ফাল্গুন ১৩৩৩)]। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ২৬ বৎসর
৯ মাস।
- পত্রিকা:
- শিখা (মুসলিম সাহিত্য সমাজের মুখপত্র)। চৈত্র ১৩৩৩ (মার্চ-এপ্রিল ১৯২৭)।
-
সওগাত। চৈত্র ১৩৩৩ (মার্চ-এপ্রিল ১৯২৭)।
-
প্রগতি। মাঘ ১৩৩৪ (জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি ১৯২৮)
- গ্রন্থ:
-
জিঞ্জীর
- প্রথম সংস্করণ [নভেম্বর ১৯২৮ (কার্তিক-অগ্রহায়ণ ১৯৩৫)। শিরোনাম:
খোশ্ আমদেদ]
- নজরুল রচনাবলী, জন্মশতবর্ষ সংস্করণ। তৃতীয় খণ্ড [বাংলা একাডেমী, ঢাকা জুন ২০১২।
জিঞ্জীর। শিরোনাম:
খোশ্ আমদেদ। পৃষ্ঠা: ১৩১]
-
নজরুল গীতিকা
- প্রথম সংস্করণ [ভাদ্র ১৩৩৭ বঙ্গাব্দ। ২ সেপ্টেম্বর ১৯৩০।
জাতীয় সঙ্গীত ৭। ভৈরবী-কাহারবা। পৃষ্ঠা ৫৯]
- নজরুল রচনাবলী, জন্মশতবর্ষ সংস্করণ। তৃতীয় খণ্ড [বাংলা একাডেমী, ঢাকা জুন ২০১২। নজরুল গীতিকা।
জাতীয় সঙ্গিত। গান ২৩। ভূপালী-আদ্ধা কাওয়ালি পৃষ্ঠা: ১৮৬]