বিষয়:
নজরুল সঙ্গীত।
শিরোনাম
: কোথা চাঁদ আমার!
পিলু-কাওয়ালি
কোথা চাঁদ আমার!
নিখিল ভুবন মোর ঘিরিল আঁধার॥
ওগো বন্ধু আমার, হ'তে কুসুম যদি,
রাখিতাম কেশে তুলি' নিরবধি।
রাখিতাম বুকে চাপি' হ'তে যদি হার॥
আমার উদয়-তারার শাড়ি ছিঁড়েছে কবে,
কামরাঙা শাঁখা আর হাতে কি রবে।
ফিরে এস, খোলা আজো দখিন-দুয়ার॥
- রচনাকাল ও স্থান:
গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ব্রহ্মমোহন ঠাকুর তাঁর
'নজরুল সঙ্গীত নির্দেশিকা' গ্রন্থে গানটি মন্মথ রায়ের রচিত মহুয়া নাটকের গান
হিসেবে উল্লেখ করেছেন। গ্রন্থসূত্র হিসেবে উল্লেখ করেছেন- 'মহুয়ার গান', ডি্এম
লাইব্রেরী, প্রকাশ ১.১.১৯৩০।
উল্লেখ্য, ১৯২৯ বঙ্গাব্দের ৩১শে ডিসেম্বর (মঙ্গলবার,
১৬ই পৌষ ১৩৩৬) কলকাতায় মনোমোহন থিয়েটারে
নাটকটি
প্রথম মঞ্চস্থ হয়েছিল। গ্রন্থাকারে মহুয়া নাটকের প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৩০
খ্রিষ্টাব্দের ৮ই জানুয়ারি। প্রকাশক: গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এন্ড সন্স্,
২০৩।১।১, কর্ণওয়ালিস স্ট্রীট, কলিকাতা। মূল্য ১টাকা। গ্রন্থটি উৎসর্গ করেছিলেন
অক্ষয়কুমার মৈত্রেয়কে। উৎসর্গ পত্রের নিচে তারিখ ও স্থানের উল্লেখ ছিল- ৮ই
জানুয়ারি-১৯৩০/"বরদা-ভবন"/বালুর ঘাট, পোষ্ট-টাউন, দিনাজপুর'।
এরপর তিনটি নাটকের সংকলন (কারাগার, মুক্তির ডাক ও মহু্য়) হিসেবে 'মন্মথ রায়ের
নাটক' প্রকাশিত হয়েছিল। এরপর নাটকটি স্থান পেয়েছিল- ১৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দে মন্মথ রায়
নাট্যগ্রন্থাবলী চতুর্থ খণ্ডে (মনমথন প্রকাশন। ২২১ সি, বিবেকানন্দ রোড। কলিকাতা
-৭০০০০৬। পৃষ্ঠা: ১৭৭-২৫৪। পৃষ্ঠা: ১৭৭-২৫৪)। মোট
১৪টি গান পাওয়া যায়। এর কোনোটিতেই
'কোথা চাঁদ আমার' গানটি নেই। তাই এই গানটি মহুয়া নাটকের কিনা এই সংশয় থেকেই গেল।
১৩৩৭ বঙ্গাব্দের ভাদ্র মাসে প্রকাশিত 'নজরুল গীতিকা' গ্রন্থে গানটি অন্তর্ভুক্ত
হয়েছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩১ বৎসর ৩ মাস।
-
গ্রন্থ:
-
নজরুল গীতিকা
।
- প্রথম সংস্করণ [ভাদ্র ১৩৩৭ বঙ্গাব্দ ১৩৩১ বঙ্গাব্দ। ২ সেপ্টেম্বর ১৯৩০। ঠুংরী।
২। পিলু-কাওয়ালী। পৃষ্ঠা: ৪৪
- নজরুল রচনাবলী, জন্মশতবর্ষ সংস্করণ। তৃতীয় খণ্ড [বাংলা একাডেমী, ঢাকা
ফাল্গুন ১৪১৩/মার্চ ২০০৭] নজরুল গীতিকা। ৩২। ঠুংরী। পিলু-কাওয়াল। পৃষ্ঠা: ১৯৫]