বিষয়: নজরুলসঙ্গীত
শিরোনাম: আমি তুরগ ভাবিয়া মোরগে চড়িনু
আমি তুরগ ভাবিয়া মোরগে চড়িনু
(সে) লইল মিঞার ঘরে।
আমার কালী মা ছাড়ায়ে কলেমা পড়ায়ে
বুঝি মুসলিম করে॥
আমায় বুঝি মুসলিম করে গো –
মুর্গীর লোভে দর্গায় এসে
বুঝি টিকি মোর হরে গো!
আমার শিখা ক’রে দূর রেখে দেবে নূর,
জবাই করিবে পরে গো!
আমি বাসব ভাবিয়া রাসভে পূজিনু
স্বর্গে যাইতে সোজা;
সে যে লয়ে এঁদো ঘাটে আছড়ায় পাটে
ভাবিয়া ধোবির বোঝা!
হ’ল হিতে-বিপরীতে সবি গো!
আমি ভবানী বলিয়া করিতে প্রণাম
হেরি বাগ্দিনী ভবী গো!
আমি শীতল হইতে চাহিনু, আনিল
শীতলা-বাহনে ধরি’ গো!
বাবা শিবের বাহন বলিয়া বৃষভ –
লাঙুল ঠেকানু ভালে,
হায় নিল না সে পূজা, শিং দিয়ে সোজা
গুঁতায়ে ফেলিল খালে!
আমা কপাল এমনি পোড়া গো!
আমি শালগ্রাম ভেবে রাখিনু চক্ষে
হেরি ঝাল-মাখা নোড়া গো।
আমার ভাগ্য বেজায় ফুটো গো,
বাঁকা অঙ্গ হেরিয়া জড়ায়ে ধরিতে
হেরি ত্রিভঙ্গ খুঁটো গো!
আমার মহিষী-গৃহিণী খুশি হবে ভেবে
মহিষ কিনিয়া আনি,
বাবা মরি এবে ত্রাসে শিং নেড়ে আসে
মহিষ, মহিষীরানী!
আমি কেমনে জীবন ধরি গো!
আমি হরি বোল ব’লে ডাকিতে হরিরে
হয়ে যা ‘বল হরি’ গো॥
-
রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায়
না। গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না।
জয়তী পত্রিকার 'শ্রাবণ ১৩৩৭ (জুলাই-আগষ্ট ১৯৩০)' সংখ্যায় গানটি প্রথম প্রকাশিত
হয়েছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩১ বৎসর ২ মাস।
-
পত্রিকা: জয়তী [শ্রাবণ ১৩৩৭ (জুলাই-আগষ্ট ১৯৩০)]
-
গ্রন্থ
-
নজরুল-গীতিকা
- প্রথম সংস্করণ [ভাদ্র ১৩৩৭ বঙ্গাব্দ। ২ সেপ্টেম্বর ১৯৩০।
কীর্তন। পৃষ্ঠা
১১৬-১১৭]
- নজরুল রচনাবলী, জন্মশতবর্ষ সংস্করণ। তৃতীয় খণ্ড [বাংলা একাডেমী, ঢাকা
ফাল্গুন ১৪১৩/মার্চ ২০০৭] নজরুল
গীতিকা। ৯৩। হাসির গান । কীর্তন। পৃষ্ঠা: ২৩৭-২৩৮]
-
চন্দ্রবিন্দু
- প্রথম সংস্করণ [সেপ্টেম্বর ১৯৩১, আশ্বিন ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ।]
- নজরুল রচনাবলী, জন্মশতবর্ষ সংস্করণ, চতুর্থ খণ্ড [জ্যৈষ্ঠ ১৪১৮, মে ২০১১।
চন্দ্রবিন্দু। কমিক গান। শিরোনাম: হিতে বিপরীত। কীর্তন। পৃষ্ঠা: ১৯০-১৯১]