বিষয়:
নজরুল সঙ্গীত।
শিরোনাম :
বাজায়ে জল-চুড়ি কিঙ্কিণী,
বাজায়ে জল-চুড়ি কিঙ্কিণী,
কে চল জল-পথে উদাসিনী॥
পথিকে ডেকে বল ‘ছল্ গো ছলছল’
ছুঁতে উছলে জল গরবিণী॥
তোমার কোল মাগি’ কলের হতভাগী
রহে ও কূলে জাগি’ নিশীথিনী॥
বুকেতে বহে তরী, চাহ না জল-পরী,
চল সাগরে স্মরি’ পূজারিণী॥
-
ভাবার্থ: চলমান নদীকে নিয়ে এই গানটি রচনা করেছিলেন কবি। কবির এই নদী
গৃহহীন বিবাগীর মতো বয়ে চলে। তার বক্ষে কিম্বা দুই পারের কোনো আনন্দবেদনা
স্পর্শ করে না। তার একমাত্র লক্ষ্য সাগরসঙ্গম।
এ নদী আপন মনে উদাসিনী হয়ে তার জল-কঙ্কন বাজিয়ে চলে। তার ছল ছল ধ্বনি যেন পথিককে
চলার ছলনার ইঙ্গিত দিয়ে যায়। তাকে ছুঁইতে চাইলে গরবিনীর মতো ফুঁসে ওঠে। জীবনের
জ্বালা জুড়াতে কুলের কত হতভাগী এ নদীতে ডুব মরে। রাত্রিও যেন একাকিনী তার ব্যথা
নিয়ে কূলে বসে জেগে থাকে। এ নদী উদাসিনী বলেই তার বুকে চলমান তরীর খবর সে রাখে
না। শুধু সাগরের সাথে মিলনের আশায় পূজারিণী হয়ে একাকী বয়ে চলে।
-
রচনাকাল ও স্থান:
গানটির
রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৩৩৬ বঙ্গাব্দের
অগ্রহায়ণ (নভেম্বর-ডিসেম্বর ১৯২৯) মাসে
প্রকাশিত 'চোখের চাতক' সঙ্গীত-সংকলনে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
এই সময় নজরুলের
বয়স ছিল ৩০ বৎসর ৬ মাস।
- গ্রন্থ
-
চোখের চাতক
- প্রথম সংস্করণ [অগ্রহায়ণ ১৩৩৬ (ডিসেম্বর ১৯২৯)। গান ৪৩।
আড়ানা-যৎ]
- নজরুল-রচনাবলী, দ্বিতীয় খণ্ড [বাংলা একাডেমী, ফাল্গুন ১৪১৩। ফেব্রুয়ারি ২০০৭।
চোখের চাতক। গান ৪৩। আড়ানা-যৎ। পৃষ্ঠা: ২২২-২২৩]
-
নজরুল-গীতিকা।
- প্রথম সংস্করণ [ভাদ্র ১৩৩৭ বঙ্গাব্দ। ২ সেপ্টেম্বর ১৯৩০। আড়ানা-যৎ। পৃষ্ঠা ১৩৯]
-
নজরুল রচনাবলী, জন্মশতবর্ষ সংস্করণ। তৃতীয় খণ্ড [বাংলা একাডেমী, ঢাকা
ফাল্গুন ১৪১৩/মার্চ ২০০৭।] খেয়াল । ১১৩। আড়ানা-যৎ। পৃষ্ঠা:
২৫১]