বিষয়: নজরুল সঙ্গীত
শিরোনাম: কোন্ শরতে পূর্ণিমা-চাঁদ আসিলে এ ধরাতল
রাগ: সিন্ধু, তাল: কাওয়ালি
কোন্ শরতে পূর্ণিমা-চাঁদ আসিলে এ ধরাতল।
কে মথিল তব তরে কোন্ সে ব্যথার সিন্ধু-জল॥
দুয়ার-ভাঙা জাগল জোয়ার বেদনার ওই দরিয়ায়।
আজ ভারতী অশ্রুমতী মধ্যে দুলে টলমল॥
কখন তোমার বাজল বেণু প্রাণের বংশী-বট-ছায়।
মরা গাঙে ভাঙা ঘাটে ঘট ভরে গোপিনী দল॥
বিদ্যুতের বাঁকা হাসি হাসিয়া কালো মেঘে,
আসিলে কে অভিমানী বহায়ে মরুতে ঢল।।
লয়ে হাতে জিয়ন-কাঠি আসিলে কে রূপ-কুমার
উঠল জেগে রূপ-কুমারী আঁধারে ওই ঝলমল॥
আকাশে চকোরী কাঁদে, তড়াগে চাহে কুমুদ
ঝরুক আঁখির শেফালিকা ছুঁয়ে তব পদতল॥
-
রচনাকাল ও
স্থান: গানটি রচনার কোনো সুনির্দিষ্ট
তারিখ পাওয়া যায় না। ১৩৩৪ বঙ্গাব্দের ২৯শে ভাদ্র (১৫ সেপ্টেম্বর ১৯২৮), শরৎচন্দ্র চট্টোপধ্যায়ের জন্ম-জয়ন্তীতে
গানটি নজরুল নিজেই পরিবেশন করেছিলেন। তাই
ধারণা করা হয়, নজরুল শরৎচন্দ্রের জন্ম-জয়ন্তী উপলক্ষেই ভাদ্র মাসেই গানটি রচনা করেছিলেন। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল
২৮ বৎসর ৩ মাস।
- পত্রিকা:
- কল্লোল। আশ্বিন ১৩৩৫ (সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ১৯২৮)
- পাঠশালা। ভাদ্র ১৩৫০ (আগষ্ট-সেপ্টেম্বর ১৯৪৩)
- গ্রন্থ
-
বুলবুল:
- প্রথম সংস্করণ [নভেম্বর ১৯২৮।
কার্তিক ১৩৩৫] গান ৩৭। সিন্ধু-কাওয়ালি
- নজরুল-রচনাবলী, দ্বিতীয় খণ্ড [বাংলা একাডেমী, ফাল্গুন ১৪১৩। ফেব্রুয়ারি ২০০৭। বুলবুল। গান
৩৭। সিন্ধু-কাওয়ালি। পৃষ্ঠা: ১৭৯]