বিষয়: নজরুল সঙ্গীত। 
শিরোনাম:ও ভাই কোলা-ব্যাঙ, ও ভাই কোলাব্যাঙ।
	
		
ও ভাই কোলা-ব্যাঙ, ও ভাই কোলাব্যাঙ।
সর্দি তোমার হয় না বুঝি, ও ভাই কোলাব্যাঙ,
সারাটি দিন জল ঘেঁটে যাও, ছড়িয়ে দুটি ঠ্যাঙ॥
           
লক্ষ্মী মেয়ে মা তোর বুঝি
           
খেল্লে বেড়ায় নাকো খুঁজি’,
কেউ বকে না, মজাসে তাই গাইছো ঘেঙর ঘ্যাঙ॥
           
দিবানিশি জল ঘাঁটো তাও
           
চোখ ওঠে না, কি ওষুধ খাও॥
জলদানোটা আসলে, ফেলে দাও কি মেরে ল্যাঙ॥
            ব্যাঙ দাদা! তোর মায়ের মত
           
মা যদি মোর লক্ষ্মী হ’ত,
তোর সাথে ভাই থাকতাম জলে ছ্যাড্যাং ড্যাড্যাং ড্যাং॥
		
	- ভাবার্থ: শিশুতোষ পুতুলের বিয়ে নাটকের সমবেত সঙ্গীত। এই গানে কোলা 
	ব্যঙের কাছে শিশুতোষ কৌতুহলী প্রশ্নের ভিতর দিয়ে, তার রূপকে উপস্থাপন করা হয়েছে। 
	শিশুদের জল-খেলা করতে মায়েরা বাধা দেয়, অথচ ব্যাঙ তেমনটাই করে অথচ তাদের লক্ষ্মী 
	মায়েরা তাতে বাধা দেয় না। এ নিয়ে রয়েছে মায়ের প্রতি শিশুর রাগ ও অভিমান। কবি 
	শিশুদের হয়ে যেন আক্ষেপকে প্রকাশ করেছেন এই গানে। 
 
 একটু জলে খেলা করেই শিশুরা সর্দিতে ভোগে। কিন্তু ব্যাঙ তার হাত-পা-ছড়িয়ে জলেই 
	থাকে, অথচ তার সর্দি হয় না কেন- শিশুর মনে এ প্রশ্ন জেগে ওঠে। ব্যাঙেরা সারাবেলা 
	খেলে বেড়ালে, তাদের লক্ষ্মী মায়েরা তাদেরকে খুঁজে বেড়ায় না। তাদের মায়েরা কোনো 
	বকুনি দেয় না বলেই যেন- ব্যাঙেরা মহানন্দে গায় ঘেঙর ঘ্যাঙ।
 
 অল্প একটি জল ঘাঁটলে শিশুদের 'চোখ-ওঠা' রোগ হয়। শিশুর মন প্রশ্ন জাগে তারা কি 
	এমন কোন ওষুধ খায়, যে তাদের এই রোগ হয় না। জলে খেলা করলে মায়েরা কল্প জলদানোর 
	কথা বলে। শিশুরা ব্যাঙ দাদার কাছে প্রশ্ন করে, তাদের যখন জলদানো ধরতে আসে, তার 
	কি তখন তাদের ল্যাঙ মেরে ফেলে দেয়। শিশুরা ভাবে ব্যাঙদের এই অবাধ বিচারণে তাদের 
	লক্ষ্মীরা কোনো বাধা দেয় না। যদির মায়েরা এমন হতো- তবে তারাও ব্যাঙের মতো জলে 
	ড্যাড্যাং ড্যাড্যাং ড্যাং করে ঘুরে বেড়াতে পারতো।
 
- রচনাকাল ও স্থান:  গানটির রচনাকাল সম্পর্কে 
		সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৩৩২ খ্রিষ্টাব্দের 
		২৩ সেপ্টেম্বর  (শুক্রবার ৭ আশ্বিন ১৩৩৯) এইচএমভি রেকর্ড কোম্পানির সাথে 
		চুক্তি হয়েছিল। এই চুক্তিতে গানটি ছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৩ বৎসর ৪ 
		মাস।
	
 
- 
	 গ্রন্থ: গ্রন্থ:
		- 
		পুতুলের বিয়ে।
			- প্রথম সংস্করণ [মার্চ ১৯৩৪ (ফাল্গুন-চৈত্র ১৩৪০)। পুতুলের বিয়ে। 
							
			ছিনিমিনি খেলা। সকলের গান।
- নজরুল রচনাবলী, জন্মশতবর্ষ সংস্করণ, পঞ্চম খণ্ড। বাংলা একাডেমী, 
			ঢাকা। [জ্যৈষ্ঠ 
				১৪১৮, মে ২০১১। পুতুলের বিয়ে।  ছিনিমিনি খেলা। সকলের গান।
			পৃষ্ঠা ৩৬৬]
 
- নজরুল-সঙ্গীত 
	সংগ্রহ,[নজরুল ইনস্টিটিউট, মাঘ ১৪১৮। ফেব্রুয়ারি ২০১২।
		 গান সংখ্যা 
			
২৫৩৪।পৃষ্ঠা:  
			
৭৮০]
 
- রেকর্ড: এইচএমভি [সেপ্টেম্বর ১৯৩২ (ভাদ্র-আশ্বিন ১৩৩৯)। শিল্পী: শিশুমঙ্গল 
			সমিতি। নম্বর জিটি ২২]
- পর্যায়:
	- প্রকৃতি, জাগতিক, প্রাণী, ব্যাঙ, শিশুতোষ।