বিষয়: নজরুল সঙ্গীত। 
শিরোনাম : এসো প্রাণে গিরিধারি বন-চারী
	
	এসো প্রাণে গিরিধারী বন-চারী
গোপীজন-মনোহারী।
চঞ্চল গোকুল-বিহারী॥
লহ নব প্রীতির কদম-মালা
আনন্দ-চন্দন, প্রেম-ফুল-ডালা
নয়নে আরতি-প্রদীপ জ্বালা
অঞ্জলি লহ আঁখি-বারি॥
প্রণয়-বিহ্বলা প্রাণ-রাধিকা
পরেছে তব নাম কলস্ক-টিকা
অথির অনুরাগ গোপ-বালিকা
চাহে পথ তোমারি॥
	
	- 
	ভাবসন্ধান: গিরিধারী, বনচারী, গোপীজন মনোহারী, চঞ্চল গোকুল-বিহারী কৃষ্ণের 
	আগমনের প্রতীক্ষায় রয়েছেন ব্রজবাসিনীরা। তাঁদের আগমন উপলক্ষের রচিত এই গানে 
	পাওয়া যায় তারই আভাস। 
 
 অধীর আগ্রহে সকলে প্রতীক্ষরত তাঁকে বরণ করে নেওয়া জন্য। তাঁরা নব-প্রীতির কদম 
	মালা, আনন্দ চন্দন দিয়ে প্রেম-ফুল ডালা সাজিয়েছেন।  প্রতীক্ষা আছেন- নয়নে 
	আরতির প্রদীপ জ্বালিয়ে, অশ্রু-অঞ্জলি দিয়ে প্রেম-ভক্তির অর্ঘ নিবেদন করা জন্য ।
 
 কৃষ্ণের আগমন উপলক্ষে তাঁর প্রাণ-রাধিকা ধারণ করেছেন পরকীয়ার কলঙ্কটীকা। তাঁর 
	আসার পথ চেয়ে অনুরাগিণী গোপ-বালিকা (রাধা) প্রেমানুরাগে অস্থির হয়ে উঠেছেন।
 
- 
	রচনাকাল ও স্থান:  গানটির রচনাকাল সম্পর্কে 
		সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দের অক্টোবর
	(চৈত্র ১৩৪৪- বৈশাখ ১৩৪৫) 
	মাসে এইচএমভি থেকে গানটির প্রথম রেকর্ড 
	প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল  ৩৯
	বৎসর ১০ মাস। 
 
- গ্রন্থ: নজরুল-সংগীত সংগ্রহ। রশিদুন্ নবী সম্পাদিত। কবি নজরুল 
	ইন্সটিটিউট। তৃতীয় সংস্করণ দ্বিতীয় মুদ্রণ, আষাঢ় ১৪২৫। জুন ২০১৮। ২৮৯ সংখ্যক 
	গান। 
 
- রেকর্ড: এইচএমভি। এপ্রিল
১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দ 
	(চৈত্র ১৩৪৪-বৈশাখ ১৩৪৫)। এন.১৭০৬৫।  শিল্পী: 
	নিতাই ঘটক। সুর: 
	নজরুল ইসলাম। 
 
- বেতার: 
	 গিরিধারী শ্রীকৃষ্ণ 
	। ৩০ সেপ্টেম্বর, 
	১৯৪০ (সোমবার ১৪ আশ্বিন ১৩৪৭)। সন্ধ্যা ৬.৪৫-৭.২৫। 
	  
- স্বরলিপি ও স্বরলিপিকার: সালাউদ্দিন আহ্মেদ
	[নজরুল 
	সঙ্গীত স্বরলিপি, পঁচিশতম খণ্ড,  নজরুল ইন্সটিটিউট, ঢাকা। ভাদ্র, ১৪১২/আগস্ট 
২০০৫  খ্রিষ্টাব্দে] নবম গান। [নমুনা]
- সুরকার: নজরুল ইসলাম
 
- পর্যায়: 
	
		- বিষয়াঙ্গ: ধর্মসঙ্গীত। সনাতন হিন্দুধর্ম।  বৈষ্ণবসঙ্গীত। 
		কৃষ্ণ। আগমনী
- সুরাঙ্গ:  ভজন
- তাল:
		কাহারবা 
		
- গ্রহস্বর: সঋ