সখি দেখ্লো বাহিরে গিয়া
কে অমন করে সকরুণ সুরে ডাকিল পিয়া পিয়া।
পিয়া ডাক শিখে বনের পাপিয়া এলো কি মথুরা হতে?
ভ্রমর গুঞ্জন নূপুর বাজায়ে শ্যাম চলে যায় বন-পথে্
(তোরা ডাকিলি না বলে বনে চলে যায় গো।
ঝরা পাতার নূপুর বাজায়ে বনমালী বনে চলে যায় গো।)
সখি হলুদ-রাঙা কার পীত-ধড়া
ঐ সোনাল ফুলের ডালে দোলে, দেখ্লো তোরা।
তোরা দেখে আয় ঐ মোর মদনমোহন
ও সোনাল তরু নয়, মলয় হাওয়ায় দোলে পীত-বসন॥
(সখি) ও নহে দোয়েল, ও নহে কোয়েলা পাখি।
রাধারে খুঁজিয়া বেড়ায় উড়িয়া শ্যামের কাজল-আঁখি
দেখিতে বুঝি আসিয়াছে মোর হৃদ-পিঞ্জরের পাখি।
কৃষ্ণ বিরহে রাধার প্রাণ আজও আছে কিনা আছে।
তারে ডেকে এনে বল্
রাধার পাষাণ প্রাণ যাবে না যাবে না, না হেরি হরির চরণ-কমল॥