বিষয়: নজরুল সঙ্গীত।
শিরোনাম: আয় ঘুম আয় ঘুম আয় মোর গোপাল ঘুমায়
আয় ঘুম আয় ঘুম আয় মোর গোপাল ঘুমায়
বহু রাত্রি হল আর জাগাস্নে মায়॥
কোলে লয়ে তোরে ধীরে ধীরে দোলাবো
ঘুম-পাড়ানিয়া গান তোরে শোনাবো
গায়ে হাত বুলাবো পাঙ্খা ঢুলাবো
মন ভুলাবো কত রূপকথায়॥
তোরে
কে বলে চঞ্চল একচোখো সে
মোর
শান্ত গোপাল থাকে গোষ্ঠে ব'সে
তোরে
কে বলে ঝড় তোলে থির যমুনায়
সে যে
দিন রাত ঘোরে তার মা'র পায় পায়॥
- ভাবসন্ধান: বৃন্দাবনে চঞ্চল বালক গোপাল সারাদিন দস্যিপনা করে কাটায়।
রাত্রি গভীর হয়, তবু গোপালের চোখে ঘুম নেই। তাই মা যশোদা বাল-কৃষ্ণকে
ঘুম-পাড়ানোর জন্য শোনান মন ভুলানো ঘুম-পাড়ানি গান। আদরে কাছে ডেকে বলেন-
'কোলে লয়ে তোরে ধীরে ধীরে দোলাবো, ঘুম-পাড়ানিয়া গান তোরে শোনাবো, গায়ে হাত. বুলাবো, পাঙ্খা ঢুলাবো, মন ভুলাবো কত রূপকথায়।'
যশোদা ছেলের মন ভুলানোর জন্য বলেন- তাকে কে বল চঞ্চল, একচোখা। মাতৃস্নেহে
বলেন- কারো অনুযোগ গ্রহণ না করে প্রশ্রয়ের শুরে বলেন- তাঁর শান্ত
গোপলা তো গোষ্ঠেই ব'সে থাকে। তিনি অপত্য স্নেহে প্রশ্রয়ের সুরে বলেন- কে বলে
স্থির যমুনা ঝড় তোলে। সে তো তাঁর সাথেই থাকে, সংসারের কাজের সময় ঘোরে তার তার পায় পায়॥
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে
কিছু জানা যায় না। ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারি মাসে (পৌষ-মাঘ ১৩৪৫) এইচএমভি
রেকর্ড কোম্পানি থেকে এই গানটির একটি রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময়
নজরুলের বয়স ছিল ৩৯ বৎসর ৭ মাস।
- রেকর্ড:
এইচএমভি। এইচএমভি। জানুয়ারি ১৯৩৯
(১৬ পৌষ-১৭ মাঘ ১৩৪৫)। এন ১৭২৩৬। শীলা সরকার। সুরকার: অনিল ভট্টচার্য।
[শ্রবণ নমুনা]
-
স্বরলিপিকার ও স্বরলিপি:
সুধীন দাশ।
[নজরুল-সঙ্গীত
স্বরলিপি, ত্রয়োদশ খণ্ড।
প্রথম সংস্করণ। নজরুল ইন্সটিটিউট জ্যৈষ্ঠ ১৪০১/মে ১৯৯৪। দ্বিতীয় গান]
[নমুনা]
-
পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: ধর্মসঙ্গীত। সনাতন হিন্দুধর্ম। বৈষ্ণবসঙ্গীত। যশোদার গান
- সুরাঙ্গ: স্বকীয় বৈশিষ্ট্য