বিষয়:
নজরুল সঙ্গীত।
শিরোনাম :
হে মহামৌনী, তব প্রশান্ত গম্ভীর বাণী শোনাবে কবে
তাল: ত্রিতাল
হে মহামৌনী, তব প্রশান্ত গম্ভীর বাণী শোনাবে কবে
যুগ যুগ ধরি’ প্রতীক্ষারত আছে জাগি’ ধরণী নীরবে॥
যে-বাণী শোনার অনুরাগে উদার অম্বর জাগে
অনাহত যে-বাণীর ঝঙ্কার বাজে ওঙ্কার প্রণবে॥
চন্দ্র-সূর্য-গ্রহ-তারায় জ্বলে যে-বাণীর শিখা
পুষ্পে-পর্ণে শত বর্ণে যে-বাণী-ইঙ্গিত লিখা।
যে অনাদি বাণী সদা শোনে যোগী-ঋষী মুনি জনে
যে-বাণী শুনি না শ্রবণে বুঝি অনুভবে॥
- ভাবার্থ: পরমব্রহ্মের পরমবাণী পরমভক্তের কাছে আরাধ্য ধন। কারণ এই বাণী
ভক্তের কাছে ধ্যানমগ্ন সমাধিদশায় অনাহত নাদে প্রকাশিত হয়। এই বাণী ধ্বনিত হয় ওঙ্কার
রূপে, যাতে মিশে আছে ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বরে সমন্বিত স্বরূপ, যা যোগীর কাছে
প্রকাশিত হয় পরমব্রহ্মের অনাহত নাদে। এই বাণী শব্দব্রহ্ম রূপে বিরাজ করে
মহাকাশের চন্দ্র-সূর্য-গ্রহ-তারায়। এই বাণী ইঙ্গিতময় হয় প্রকাশিত হয়- পুষ্প-পর্ণে
বর্ণাঢ্যে প্রকৃতির অপার লীলায়। এ বাণী আহত নাদে শ্রবণেন্দ্রিয়কে অভিভুত করে না।
তাই যোগী ঋষিরা ধ্যানের গভীর মগ্নতায় অনুভব করেন পরমব্রহ্মের অনাহত নাদে ধ্বনিত
অনাদী বাণী।
- রচনাকাল ও স্থান:গানটির রচনাকাল সম্পর্কে জানা যায় না। ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দের
১৮ সেপ্টেম্বর (বুধবার,
১ আশ্বিন ১৩৪২) এইচএমভি রেকর্ড কোম্পানির সাথে নজরুলের একটি চুক্তি হয়। চুক্তিতে এই
গানটি ছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৬ বৎসর ৪ মাস।
- রেকর্ড:
- এইচএমভির সাথে চুক্তিপত্র। [১৮ সেপ্টেম্বর ১৯৩৫ (বুধবার,
১ আশ্বিন ১৩৪২)]
-
এইচএমভি। জানুয়ারি
১৯৩৬ (১৬ পৌষ-১৭ মাঘ ১৩৪২)। এন ৭৪৭২। শিল্পী: বীণাবাদিনী দেবী (মধুপুর)
- স্বরলিপি ও স্বরলিপিকার:
ইদ্রিস আলী [নজরুল সঙ্গীত স্বরলিপি, দ্বাবিংশ খণ্ড,
নজরুল ইন্সটিটিউট, ঢাকা ভাদ্র, ১৪০৭/
সেপ্টেম্বর, ২০০০ খ্রিষ্টাব্দ] ২৫ সংখ্যক গান। বীণাবাদিনী দেবীর রের্কডে
গাওয়া গানের সুরানুসারে স্বরলিপি করা হয়েছে।
[নমুনা]
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: ভক্তি (হিন্দুধর্ম, সাধারণ)
- সুরাঙ্গ: ভজনাঙ্গা
- তাল:
ত্রিতাল
- গ্রহস্বর: সন্