বিষয়: নজরুল সঙ্গীত।
শিরোনাম: ওগো দু’পেয়ে জীব ছিল গদাই
তাল: কাহার্বা
ওগো দু’পেয়ে জীব ছিল গদাই (গদাইচন্দ্র) বিবাহ না করে,
কুক্ষণে তার বিয়ে দিয়ে দিল সবাই
ধ’রে॥
আইবুড়ো সে ছিল যখন, মনের সুখে
উড়ত
হাল্কা দু’খান পা দিয়ে সে (গদাই)
নাচ্ত, কুঁদ্ত ছুঁড়ত॥
ওগো বিয়ে করে গদাই
দেখলে সে আর উড়তে নারে, ভারি ঠেকে
সদাই।
তার এ্যাডিশনাল দু’খানা ঠ্যাং বেড়ায় পিছে ন’ড়ে॥
গদাই-এর পা দু’খানা মোটা, আর তার
বৌ-এর পা দু’খানা সরু,
ছোট বড় চারখানা ঠ্যাং ঠিক যেন
ক্যাঙারু
গদাই (দেখতে) ঠিক যেন ক্যাঙারু।
আপিসে পদ বৃদ্ধি হয় না (গদাইচন্দ্রের),
কিন্তু ঘরে ফি-বছরে,
পা বেড়ে যায় গড়পড়তায় দু’চারখান
ক’রে।
তার বৌ শোনে না মানা
-
তিনি হন্যে হয়ে কন্যে আনেন মা ষষ্টির ছানা
মানুষ থেকে চার পেয়ে জীব, শেষ ছ’পেয়ে
মাছি,
তারপর আটপেয়ে পিঁপড়ে, বাবা গদাই বলে,
একেবারে গেছি
আর বলে, ও বাবা বিয়ে করে মানুষ এই
কেলেঙ্কারির তরে (বাবা)॥
-
রচনাকাল ও স্থান:
গানটি রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় নি। ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দের
সেপ্টেম্বর (ভাদ্র-আশ্বিন ১৩৪২) মাসে
এইচএমভি থেকে এই গানটির একটি রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৬ বৎসর ৩ মাস।
-
পত্রিকা:
মোহাম্মদী [আশ্বিন ১৩৪২ (সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ১৯৩৫)]
-
রেকর্ড:
এইচএমভি [সেপ্টেম্বর ১৯৩৫ (ভাদ্র-আশ্বিন ১৩৪২)। এন ৭৪১১। শিল্পী:
রঞ্জিত রায়]
- স্বরলিপি ও স্বরলিপিকার: ইদ্রিস আলী [নজরুল সঙ্গীত স্বরলিপি, দ্বাবিংশ খণ্ড,
নজরুল ইন্সটিটিউট, ঢাকা ভাদ্র, ১৪০৭/ সেপ্টেম্বর, ২০০০ খ্রিষ্টাব্দ] অষ্টম গান।
[নমুনা]
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: হাসির গান
- সুরাঙ্গ: স্বকীয়
- তাল:
কাহারবা
- গ্রহস্বর: পা