|
অচেনা
রে অচেনা, মোর মুষ্টি ছাড়াবি কী ক'রে
যতক্ষণ চিনি নাই তোরে
?
কোন্ অন্ধক্ষণে
বিজড়িত তন্দ্রাজাগরণে
রাত্রি যবে সবে হয় ভোর
মুখ দেখিলাম তোর ।
চক্ষু-'পরে চক্ষু রাখি শুধালেম, কোথা সংগোপনে
আছ আত্মবিস্মৃতির কোণে ?
তোর সাথে চেনা
সহজে হবে না,
কানে-কানে মৃদু কণ্ঠে নয় ।
করে নেব জয়
সংশয়কুণ্ঠিত তোর বাণী ;
দৃপ্ত বলে লব
টানি
শঙ্কা হতে, লজ্জা হতে, দ্বিধাদ্বন্দ্ব হতে
নির্দয় আলোতে ।
জাগিয়া উঠিবি অশ্রুধারে,
মুহূর্তে চিনিবি আপনারে ;
ছিন্ন হবে ডোর,
তোমার মুক্তিতে তবে মুক্তি হবে মোর ।
হে
অচেনা,
দিন যায়, সন্ধ্যা হয়, সময় রবে না ;
মহা-আকস্মিক
বাধাবন্ধ ছিন্ন করি দিক্,
তোমারে চেনার অগ্নি দীপ্তশিখা উঠুক উজ্জ্বলি,
দিব তাহে জীবন-অঞ্জলি ।
[বাঙ্গালোর]
আষাঢ় ১৩৩৫
|