রবীন্দ্রনাথের পাণ্ডুলিপি
পুষ্পাঞ্জলি
RBVBMS 085

১২৯০ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ (১২৯০ বঙ্গাব্দের ফাল্গুন মাসের শেষ সপ্তাহ) মাসে স্বর্ণকুমারী দেবীর জ্যেষ্ঠা কন্যা হিরন্ময়ী দেবীর সাথে ফণিভূষণ মুখোপাধ্যায়ের বিবাহ হয়। এই বিবাহের বাসর-উৎসবের জন্য রবীন্দ্রনাথ নাথ 'বিবাহ-উৎসব' নাটক এচনা করেছিলেন। এতে অভিনয় করেছিলেন বাড়ির মেয়েরা। এই নাটকটি সফলভাবে অভিনীত হওয়ায়, উৎসাহিত হয়ে- 'নলিনী' নামে একটি যৌথ নাটক রচনার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু পর পর দুটি মৃত্যুর ঘটনার পর, এই নাটকটির অভিনয় বন্ধ হয়ে যায়। এই দুটি মৃত্যুর ঘটনা ছিল-

এই দুটি মৃত্যুর মধ্যে কাদম্বরী দেবী আত্মহত্যা রবীন্দ্রনাথের কাছে ছিল সবচেয়ে মর্মান্তিক। এই বিষয়ে প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় তাঁর রবীন্দ্রজীবনী প্রথম খণ্ডে 'শোক ও সান্ত্বনা' অধ্যায়ে [পৃষ্ঠা- ১৯৪-১৯৫] লিখেছেন-

'রবীন্দ্রনাথের বয়স যখন সাত বৎসর, তখন নয় বৎসরের কাদস্বরী দেবী বালিকাবধূরূপে এই গৃহে প্রবেশ করেন। তার পর মাতা সারদা দেবীর মৃত্যুর পর তিনিই মাতৃহীন শিশুদের মাতৃস্থান, বন্ধস্থান গ্রহণ করিয়াছিলেন। ববীন্দ্রনাথের বয়োবৃদ্ধির সহিত তাহার সাহিত্যজীবনের পূর্ণাঙ্গ বিকাশে জ্যোতিরিন্দ্রনাথ যেমন সহায়তা করিয়াছিলেন, তেমনি তাঁহার পত্নী কাদম্বরী দেবী কনিষ্ঠ দেবরের সুকুমার চিত্রবৃত্তির সূক্ষ্ম অনুভাবগুলিকে স্নেহের দ্বারা প্রেমের দ্বারা উদ্বোধিত করিয়াছিলেন। ইনি ছিলেন তরুণ কবির নবীন সাহিত্যজীবনের নিত্যসহচর শ্রোতা সমালোচক বন্ধু। ইঁহাকে ঘিরিয়াই প্রথম যৌবনের সাহিত্যসৃষ্টির অভিযান চলিয়াছিল। তাই এই মৃত্যুর আঘাত তাঁহাকে কিয়ৎকালের জন্য বিচলিত করিয়াছিল; এবং এই মৃত্যুবিচ্ছেদ তাঁহার অন্তরের মধ্যে যে-প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করিয়াছিল, তাহারই বেদনায় প্রকাশ পায় বিচিত্র রচনা; তাহাদের অন্যতম হইতেছে 'পুষ্পাঞ্জলি নামে গদ্যকবিতাগুচ্ছ। '
RBVBMS 085 পাণ্ডুলিপিতে যে কয়টি রবীন্দ্রনাথের রচতি গান পাওয়া যায় তা হলো-
  1. কেহ কারো মন বোঝে না [প্রেম-৩৯২] [তথ্য]
  2. তোরা বসে গাঁথিস মালা [প্রেম ও প্রকৃতি-৪] [তথ্য]