বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম: চাহিয়া দেখো
রসের স্রোতে রঙের খেলাখানি
পাঠ ও পাঠভেদ:
চাহিয়া দেখো রসের স্রোতে রঙের খেলাখানি।
চেয়ো না চেয়ো না তারে নিকটে নিতে টানি॥
রাখিতে চাহ, বাঁধিতে চাহ যারে,
আঁধারে তাহা মিলায় মিলায় বারে বারে
বাজিল যাহা প্রাণের বীণা-তারে
সে তো কেবলই গান কেবলই বাণী॥
পরশ তার নাহি রে মেলে, নাহি রে পরিমাণ—
দেবসভায় যে সুধা করে পান।
নদীর স্রোতে, ফুলের বনে বনে,
মাধুরী-মাখা হাসিতে আঁখিকোণে,
সে সুধাটুকু পিয়ো আপন-মনে—
মুক্তরূপে নিয়ো তাহারে জানি॥
চাহিয়া দেখো রসের স্রোতে
রঙের খেলাখানি।
চেয়ো
না চেয়ো না তা'রে
নিকটে নিতে টানি।...
পরশ
তার নাহি রে মেলে
নাহি
রে পরিমাণ,
দেবসভায় যে সুধা করে পান।
[স্বরবিতান ৫ (জ্যৈষ্ঠ ১৩৪৯)]
চাহিয়া দেখ রসের স্রোতে স্রোতে
রঙের খেলাখানি।
চেয়োনাতারে মায়ার ছায়া
হতে
নিকটে নিতে টানি।...
দিবস-রাতি
সুর-সভার মাঝে
যে সুধা করে
পান,
পরশ তাহার মেলেনা, মেলেনা যে
নাহিরে পরিমাণ
[গীতবিতান ৩ (শ্রাবণ ১৩৩৯)]
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান: ২৪ সেপ্টেম্বর ১৯২৬, কল্যোন্ [৭ আশ্বিন ১৩৩৩]। গানটি রবীন্দ্রনাথের ৬৫ বৎসর ৫ মাস বয়সের রচনা।
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি
গ্রন্থ:
অখণ্ড, তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দ)। বিচিত্র পর্যায়ের ১০৬ সংখ্যক গান।
স্বরবিতান পঞ্চম (৫) খণ্ডের (ভাদ্র ১৪১৪ বঙ্গাব্দ) ৪৯ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা : ১২৮-১৩০।
পত্রিকা:
সঙ্গীতবিজ্ঞান প্রকাশিকা (চৈত্র ১৩৩৪ বঙ্গাব্দ)।
সবুজপত্র (কার্তিক-অগ্রহায়ণ ১৩৩৩ বঙ্গাব্দ)।
রাগ: ভৈরবী। তাল : কাহারবা [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬।] পৃষ্ঠা: ৫০।
রাগ: ভৈরবী।
তাল :
কাহারবা
[রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার
চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমী, জুলাই ২০০১।] পৃষ্ঠা: ৮৯।
[কাহারবা তালে নিবদ্ধ গানের তালিকা]