মোদের কিছু নাই রে নাই, আমরা ঘরে বাইরে গাই—
তাইরে নাইরে নাইরে না। না না না।
যতই দিবস যায় রে যায় গাই রে সুখে হায় রে হায়—
তাইরে নাইরে নাইরে না। না না না॥
যারা সোনার চোরাবালির ’পরে পাকা ঘরের-ভিত্তি গড়ে
তাদের সামনে মোরা গান গোয় যাই— তাইরে নাইরে নাইরে না।
না না না॥
যখন থেকে থেকে গাঁঠের পানে গাঁঠকাটারা দৃষ্টি হানে
তখন শূন্যঝুলি দেখায়ে গাই— তাইরে নাইরে নাইরে না। না না না॥
যখন দ্বারে আসে মরণবুড়ি মুখে তাহার বাজাই তুড়ি,
তখন তান দিয়ে গান জুড়ি রে ভাই— তাইরে নাইরে নাইরে না। না না না॥
এ যে বসন্তরাজ এসেছে আজ, বাইরে তাহার উজ্জ্বল সাজ,
ওরে অন্তরে তার বৈরাগী গায়— তাইরে নাইরে নাইরে না। না না না॥
সে যে উত্সবদিন চুকিয়ে দিয়ে, ঝরিয়ে দিয়ে, শুকিয়ে দিয়ে,
দুই রিক্ত হাতে তাল দিয়ে গায়— তাইরে নাইরে নাইরে না।
না না না॥
কাব্যগ্রন্থ নবম খণ্ড [ইন্ডিয়ান প্রেস, ১৩২৩ বঙ্গাব্দ। রাজা। সকলের গান।
গীতবিতানের বিচিত্র পর্যায়ের ১২১ সংখ্যক গান।
স্বরবিতান দ্বিচত্বারিংশ (৪২, অরূপরতন) খণ্ডের ১৩ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা : ৪২-৪৬।
অঙ্গ: বাউল। তাল: দাদরা। [রবীন্দ্রসংগীত : রাগ-সুর নির্দেশিকা । সুধীর চন্দ। (প্যাপিরাস, জানুয়ারি ১৯৯৩)। পৃষ্ঠা: ৭৪]।
অঙ্গ: কীর্তন। তাল: দাদরা [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, জুলাই ২০০১], পৃষ্ঠা: ১২৮।