মাটির প্রদীপখানি আছে মাটির ঘরের কোলে,
                            সন্ধ্যাতারা তাকায় তারি আলো দেখবে ব’লে॥
                            সেই আলোটি নিমেষহত প্রিয়ার ব্যাকুল চাওয়ার মতো,
                            সেই আলোটি মায়ের প্রাণের ভয়ের মতো দোলে॥
                            সেই আলোটি নেবে জ্বলে শ্যামল ধারার হৃদয়তলে,
                            সেই আলেটি চপল হাওয়ায় ব্যাথায় কাঁপে পলে পলে।
                            নামল সন্ধ্যাতারার বাণী আকাশ হতে আশিস আনি,
                            অমরশিখা আকুল হল মর্তশিখায় উঠতে জ্ব’লে॥

 

• পাণ্ডুলিপির পাঠ:
• পাঠভেদ: পাঠভেদ আছে।
                            ভয়ের মত দোলে     : কথার অংশ, গীতিবীথিকা  (বৈশাখ ১৩২৬)
                                                         গীতবিতান (আশ্বিন ১৩৩৮)
                            ভয়ের মতন দোলে   : স্বরলিপি, গীতিবীথিকা  (বৈশাখ ১৩২৬)
• তথ্যানুসন্ধান
  • ক.রচনাকাল ও স্থান: ফাল্গুন ১৩২৫। রবীন্দ্রনাথের ৫৭ বৎসর ১০ মাস বয়সের রচনা।
  • খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
    • গ্রন্থ:
      • গীতবিতান-এর বিচিত্র পর্যায়ের ৯৭ সংখ্যক গান।
      • গীতিবীথিকা  (বৈশাখ ১৩২৬ বঙ্গাব্দ)।
      • প্রবাহিনী (বিশ্বভারতী ১৩৩২ বঙ্গাব্দ)। বিবিধ ৮। পৃষ্ঠা: ১০২-১০৩। [নমুনা: প্রথমাংশ, শেষাংশ]
      • স্বর্গ-মর্ত, লিপিকা (১৩২৯)।
      • স্বরবিতান চতুস্ত্রিংশ (৩৪, গীতিবীথিকা ) খণ্ডের (সংস্করণ বৈশাখ ১৩৭৭) প্রথম গান। পৃষ্ঠা : ৫-৬।
    • পত্রিকা:
      • সবুজপত্র (ফাল্গুন ১৩২৫)। স্বর্গ-মর্ত গল্পের সাথে প্রকাশিত হয়।
  • গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
    • স্বরলিপিকার:  দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর।
    • সুর ও তাল:
      • স্বরবিতান চতুস্ত্রিংশ খণ্ডে (সংস্করণ বৈশাখ ১৩৭৭) গৃহীত গানটির স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি ৪।৪।৪।৪ মাত্রা ছন্দে 'ত্রিতাল' -এ নিবদ্ধ।
      • অঙ্গ: বাউল। তাল: ত্রিতাল    [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬। পৃষ্ঠা: ৭৩]

      • অঙ্গ: কীর্তন, তাল: ত্রিতাল। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ১২৭।]

      • গ্রহস্বর-পা। লয়-দ্রুত।