তপতী
নাটক
১৩৩৬ বঙ্গাব্দে 'রাজা
ও রাণী' নাটকটি ভেঙে নতুন আঙ্গিকে তপতী নাটক লিখেছিলেন। রবীন্দ্রনাথের
সন্দেহ ছিল-
রাজা ও রাণী ততটা অভিনয়যোগ্য হয়ে ওঠে নি।
রবীন্দ্রনাথ
রাজা ও রাণী'র দুর্বলতা অকপটে স্বীকার
করেছিলেন ১৩৩৬ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত 'তপতী' নাটকের ভূমিকায় কৈফিয়ত দিয়েছিলেন, এই
ভাবে-
'রাজা ও রাণী আমার অল্প বয়সের রচনা, সেই আমার প্রথম নাটক লেখার চেষ্টা'।
রাজা ও রাণী ততটা অভিনয়যোগ্য কিনা এই ভাবনা এসেছিল- গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর যখন এই নাটকটি মঞ্চস্থ করার উদ্যোগ নেন। 'তপতী' নাটকের ভূমিকা থেকে রবীন্দ্রনাথের এই মনোভাব স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ভূমিকায় তিনি লেখেছিলেন-
'অনেকদিন ধ'রে রাজা ও রাণীর ত্রুটি আমাকে পীড়া দিয়েচে। কিছুদিন পূর্ব্বে শ্রীমান গগনেন্দ্রনাথ যখন এই নাটকটি অভিনয়ের উদ্যোগ করেন তখন এটাকে যথাসম্ভব সংক্ষিপ্ত ও পরিবর্ত্তিত ক'রে এ'কে অভিনয়যোগ্য কর্বার চেষ্টা ক'রেছিলুম। দেখ্লুম এমনতরো অসম্পূর্ণ সংস্কারের দ্বারা সংশোধন সম্ভব নয়। তখনই স্থির ক'রেছিলুম এ নাটক আগাগোড়া নতুন ক'রে না লিখ্লে এর সদ্গতি হ'তে পারে না। লিখে এই বইটার সম্বন্ধে আমার সাধ্যমতো দায়িত্ব শোধ ক'রেচি।'
নতুনভাবে লিখিত এই নাটকটি তিনি লিখেছিলেন গদ্য
সংলাপে। তার সাথে ছিল কিছু গান। আর এর মুখ্য বিষয় হিসেবে উঠে এসেছে রাজা বিক্রম
এবং রাণী সুমিত্রার প্রেমের বিরোধ।
তপতী নাটকটি ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অন্তত ৪টি পাণ্ডুলিপিতে। এগুলো হলো-