বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
শিরোনাম: আঃ বেঁচেছি এখন।
পাঠ ও পাঠভেদ:
- গীতবিতান (বিশ্বভারতী, কার্তিক
১৪১২)-এর পাঠ: প্রথম দস্যুর গান।
আঃ বেঁচেছি এখন।
শর্মা ও দিকে আর নন।
গোলেমালে ফাঁকতালে পালিয়েছি কেমন।
লাঠালাঠি কাটাকাটি ভাবতে লাগে দাঁতকপাটি,
তাই, মানটা রেখে প্রাণটা নিয়ে সটকেছি কেমন—
আহা সটকেছি কেমন।
আসুক তারা আসুক আগে, দুনোদুনি নেব ভাগে,
স্যান্তামিতে আমার কাছে দেখব কে কেমন।
শুধু মুখের জোরে, গলার চোটে লুট-করা ধন নেব লুটে,
শুধু দুলিয়ে ভুঁড়ি বাজিয়ে তুড়ি করব সরগরম—
আহা করব
সরগরম॥
- পাণ্ডুলিপির পাঠ: রবীন্দ্রনাথের পাণ্ডুলিপি পাওয়া যায় নি।
- তথ্যানুসন্ধান
-
ক. রচনাকাল ও স্থান: বাল্মীকি প্রতিভা রচনার সুনির্দিষ্ট সময় পাওয়া যায় না। এই গীতিনাট্যটি রবীন্দ্রনাথ
রচনা শেষ করেছিলেন পৌষ বা মাঘ মাসের দিকে। বাল্মীকি প্রতিভা
রচনার পরে, ১২৮৭ বঙ্গাব্দের ১৬ই ফাল্গুন (২৬ ফেব্রুয়ারি
১৮৮১ খ্রিষ্টাব্দ) জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির তেতলার ছাদে বিদ্বজ্জন সমাগম উপলক্ষে
মঞ্চস্থ হয়েছিল। ১২৮৭ বঙ্গাব্দের ফাল্গুন মাসে গীতিনাট্যটি পুস্তাকারে
প্রকাশিত হয়েছিল। গ্রন্থটি প্রকাশের সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ১৯ বৎসর ১০ মাস। গ্রন্থ
প্রকাশের বিচারে এই গানটির রচনাকালও ১৯ বৎসর ১০ মাস বিবেচনা করা যেতে পারে।
-
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
-
গ্রন্থ:
-
কাব্যগ্রন্থাবলী
[আদি ব্রাহ্মসমাজ প্রেস, ১৩০৩।
বাল্মীকি প্রতিভা। প্রথম দৃশ্য। অরণ্য, প্রথম দস্যু। মিশ্র
সিন্ধু। পৃষ্ঠা ২৮]
[নমুনা]
-
গান
-
প্রথম সংস্করণ [সিটী বুক সোসাইটী ১৩১৫]
বাল্মীকি প্রতিভা। প্রথম দৃশ্য। অরণ্য, প্রথম দস্যু। মিশ্র সিন্ধু। পৃষ্ঠা: ১৫১
[নমুনা
- গীতবিতান
-
প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ।
[বিশ্বভারতী, মাঘ ১৩৩৮
বঙ্গাব্দ। বাল্মীকি প্রতিভা
(১২৯২ বঙ্গাব্দ, পরিমার্জিত সংস্করণ) থেকে গৃহীত হয়েছিল] প্রথম দস্যুর গান।
মিশ্র-সিন্ধু। পৃষ্ঠা:
১৪]
[নমুনা]
- অখণ্ড সংস্করণ, তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী ১৩৮০)। বাল্মীকি প্রতিভা
।
প্রথম দস্যুর গান।
-
বাল্মীকি প্রতিভা
- দ্বিতীয় সংস্করণ (আদি
ব্রাহ্মসমাজ যন্ত্র, ১২৯২)। প্রথম দৃশ্য। দস্যুর গান। মিশ্র সিন্ধু । পৃষ্ঠা: ১-২।[নমুনা:
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
-
রবীন্দ্রগ্রন্থাবলী
(হিতবাদী ১৩১১)। বাল্মীকি প্রতিভা।
প্রথম দৃশ্য। দস্যুর গান।। সিন্ধু-কাফি। গান সংখ্যা ২২০। পৃষ্ঠা: ১০১৫ [নমুনা]
-
ঊনপঞ্চাশত্তম খণ্ড
(৪৯), বাল্মীকিপ্রতিভা
(বিশ্বভারতী চৈত্র ১৪১৩)।
বাণী অংশ : পৃষ্ঠা -৮।
স্বরলিপি অংশ: পৃষ্ঠা
২৮-২৯।
[নমুনা]
-
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
-
স্বরলিপিকার:
দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপিটির 'রাশি রাশি'
অংশটুকুর স্বরলিপি সুরান্তর হিসেবে স্বরবিতান
ঊনপঞ্চাশত্তম খণ্ড
(৪৯) খণ্ডে দেওয়া হয়েছে। মূল স্বরলিপিটি, ইন্দিরাদেবী-কৃত
সম্পাদিত।
-
সুর ও তাল:
-
স্বরবিতান ৪৯
খণ্ডে গানটির রাগ ও তালের উল্লেখ নেই। গানটি ৩।৩ মাত্রা ছন্দে
দাদরা তালে
নিবদ্ধ। [স্বরবিতান ৪৯, বাল্মীকিপ্রতিভা (বিশ্বভারতী
চৈত্র ১৪১৩)]
-
রাগ: কাফি। তাল: কাহরবা-দাদরা। [রবীন্দ্রসংগীত : রাগ-সুর নির্দেশিকা । সুধীর চন্দ। (প্যাপিরাস,
ডিসেম্বর ২০০৬)। পৃষ্ঠা: ২৪]।
- রাগ:
সিন্ধু। তাল: কাহারবা।
[রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার
চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমী, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ৪৮]
-
গ্রহস্বর: সা।