বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
শিরোনাম:
দে লো, সখী, দে পরাইয়ে গলে
পাঠ ও পাঠভেদ:
-
গীতবিতান (বিশ্বভারতী,
কার্তিক ১৪১২)-এর
মায়ার খেলা
প্রমদা। দে লো,
সখী, দে পরাইয়ে গলে
সাধের বকুলফুলহার।
আধফুট জুঁইগুলি যতনে আনিয়ে
তুলি
গাঁথি গাঁথি সাজায়ে দে মোরে
কবরী ভরিয়ে ফুলভার।
তুলে দে লো চঞ্চল কুন্তল,
কপোলে পড়িছে বারেবার।
প্রথমা। আজি এত শোভা কেন,
আনন্দে বিবশা যেন―
দ্বিতীয়া। বিম্বাধরে হাসি নাহি ধরে,
লাবণ্য ঝরিয়া পড়ে ধরাতলে!
প্রথমা। সখী, তোরা দেখে যা, দেখে যা―
তরুণ তনু এত রূপরাশি বহিতে পারে না বুঝি আর॥
- পাণ্ডুলিপির পাঠ:
- পাঠভেদ:
- পরাইয়ে গলে...
গাঁথি গাঁথি সাজায়ে দে মোরে
কবরী ভরিয়ে ফুলভার...
কপোলে পড়িছে বারেবার
আনন্দে বিবশা যেন
: মায়ার
খেলা
(অগ্রহায়ণ ১২৯৫)
গীতবিতান (আশ্বিন ১৩৩৮)
পরাইয়া চুলে...
দেলো, দেলো ফুলময় সাজে
সাজায়ে আমারে সখি আজ...
কপোলে পড়িছে বারবার...
আনন্দে বিবশা হেন : গানের
বহি ও বাল্মীকি প্রতিভা (১৩০০)
[স্বরবিতান
অষ্টচত্বারিংশ (৪৮, মায়ার খেলা)
(বিশ্বভারতী
আষাঢ় ১৪১৩)]
- গীতবিতানের ৯১৮ পৃষ্ঠায়
গানটির ভিন্নরূপ পাওয়া যায়; এক্ষেত্রে
বাণী অভিন্ন হলেও কেবল
যতি ও বিরাম চিহ্ণে কিছু পার্থক্য রয়েছে।
- প্রশান্তকুমার পাল তাঁর 'রবিজীবনী' দ্বিতীয় খণ্ড [আনন্দ, কলিকাতা, মে
২০০৬] -এ অনুমান করে জানিয়েছেন যে, সম্ভবত কিছুদিন
জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর
এই অংশে সুরারোপ করতে গিয়ে বাণীর পরিবর্তন করেন এবং তিনি তাঁর 'স্বপ্নময়ী
(১৮৮২ খ্রিষ্টাব্দ)' নাটকে এই গানটি ব্যবহার করেছেন। 'স্বপ্নময়ী' নাটকে
ব্যবহৃত পাঠ।
দে লো সখি দে পরাইয়ে চুলে
সাধের বকুল ফুলহার।
আধ ফোটা জুঁই-গুলি
যতনে আনিয়ে তুলি
দেলো দেলো ফুলময় সাজে
সাজায়ে আমারে সখি আজ।
ওই লো ওই লো দিন যায় যায়
লো
এখনি আসবে প্রাণনাথ।
যা লো সহচরি এই
বেলা ত্বরা করি
এখনি আসবে প্রাণনাথ।
এই তো যামিনী এল,
সে তবু এল না কেন?
বুঝি সে দুখিনীরে
আজি ভুলে গেল,
বুঝি বা সে এল না রে।
সখি তোরা
দেখে আয় দেখে আয়
না লো সখি না
ওই দেখ্ দেখ লো
ওই যে আসিছে
প্রাণনাথ।
- ভাবসন্ধান
- তথ্যানুসন্ধান
- ক. রচনাকাল ও স্থান: 'ভারতী' পত্রিকার 'অগ্রহায়ণ ১২৮৭ বঙ্গাব্দ'
সংখ্যায় রবীন্দ্রনাথের রচিত 'ভগ্নহৃদয়' নামক নাট্য-কাব্য-এর দ্বিতীয়
সর্গ প্রকাশিত হয়। এই সর্গের শুরুতে নলিনীর উক্তি হিসেবে পাওয়া যায়, 'সখি!
অলকচিকুরে কিশলয়-সাথে'। এই গানটির বাণীর সাথে উক্ত
উক্তির অংশের কিছুটা মিল পাওয়া যায়। ধারণা করা হয়, মায়ারখেলা রচনার সময় কবি,
এই উক্তিই নতুন করে সাজিয়ে গানটি রচনা করেছিলেন। মায়ার খেলা প্রকাশিত
হয়েছিল ১২৯৫ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ মাসে। এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ২০
বৎসর ৭ মাস।
- খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
- গ্রন্থ
-
কাব্যগ্রন্থাবলী [আদি ব্রাহ্মসমাজ প্রেস, ১৩০৩।
মায়ার খেলা।
তৃতীয়
দৃশ্য।
প্রমদার গান। দেশ। পৃষ্ঠা: ১৪১
[নমুনা]
-
গান
-
প্রথম সংস্করণ (১৩১৫ বঙ্গাব্দ, ১৯০৮ খ্রিষ্টাব্দ)।
মায়ার খেলা।
তৃতীয়
দৃশ্য।
প্রমদার গান। দেশ-কাওয়ালি। পৃষ্ঠা: ১১০-১১১]
[নমুনা:
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
-
গীতবিতান
- অখণ্ড সংস্করণ, তৃতীয়
সংস্করণ (বিশ্বভারতী ১৩৮০)।
- মায়ার খেলা।
তৃতীয়
দৃশ্য।
কানন। প্রমদা ও সখীগণের গান।
- পরিশিষ্ট ১।
মায়ার
খেলা।
তৃতীয়
দৃশ্য।
কানন। প্রমদা ও সখীগণের গান।
-
মায়ার খেলা
(গীতিনাট্য)
- রবীন্দ্ররচনাবলী
প্রথম খণ্ড (বিশ্বভারতী), জ্যৈষ্ঠ ১৩৯৬] তৃতীয় দৃশ্য। প্রমদা ও সখীগণের গান।
পৃষ্ঠা: ২৩৪-২৩৫।
- গানের বহি ও বাল্মীকি প্রতিভা।
(আদি ব্রাহ্মসমাজ যন্ত্র, ১৩০০)
- স্বরলিপি-গীতিমালা (১৩০৪
বঙ্গাব্দ)।
জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর -কৃত
স্বরলিপিসহ মুদ্রিত।
দেশ-কাওয়ালি।
- রবীন্দ্রগ্রন্থাবলী (হিতবাদী,
১৩১১ বঙ্গাব্দ)।
- মায়ার খেলা
(বিশ্বভারতী
১৩৯৬)।
বিশ্বভারতী কর্তৃক প্রকাশিত রবীন্দ্ররচনাবলী (প্রথম খণ্ড, পৃষ্ঠা:
২৩৪-২৩৫)
-
স্বপ্নময়ী
- প্রথম প্রকাশ: ১২ চৈত্র ১২৮৮, ২৪ মার্চ
১৮৮২ খ্রিষ্টাব্দ।
আদি ব্রাহ্মসমাজ যন্ত্র)। [
তৃতীয় অঙ্ক, প্রথম গর্ভাঙ্ক। দেশ।
সুমতির গান। পৃষ্ঠা: ৯৭-৯৮।
স্বরবিতান অষ্টচত্বারিংশ,
মায়ার খেলা
(বিশ্বভারতী
আষাঢ় ১৪১৩)।
বাণী অংশ :
পৃষ্ঠা
১০-১১।
স্বরলিপি অংশ:
পৃষ্ঠা
৪৫-৪৬।
পত্রিকা
- সাধনা (ভাদ্র-আশ্বিন ১২৯৯)।
ইন্দিরাদেবী চৌধুরানী -কৃত
স্বরলিপিসহ মুদ্রিত।
গ.
সঙ্গীত
বিষয়ক তথ্যাবলী:
-
স্বরলিপিকার:
-
ইন্দিরাদেবী চৌধুরানী
[স্বরবিতান
৪৮,
মায়ার খেলা
(বিশ্বভারতী আষাঢ়
১৪১৩)]
-
জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর [স্বরলিপি-গীতিমালা ১৩০৪]
-
রাগ ও তাল:
-
স্বরবিতান অষ্টচত্বারিংশ (৪৮, মায়ার খেলা)
খণ্ডের (আষাঢ়
১৪১৩
বঙ্গাব্দ)
সুরভেদ/ছন্দভেদ অংশে 'স্বরলিপি-গীতিমালা'য়
মুদ্রিত জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর -কৃত
স্বরলিপিটির সুরভেদ
দেখানো হয়েছে (পৃষ্ঠা ১৫১)। স্বরবিতান অষ্টচত্বারিংশ
খণ্ডের
(আষাঢ়
১৪১৩
বঙ্গাব্দ)
গৃহীত স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ
নেই।
উক্ত স্বরলিপিটি
৪।৪
মাত্রা ছন্দে কাহারবা
তালে
নিবদ্ধ।
[স্বরলিপি]
-
রাগ: দেশ-মল্লার।
তাল: কাহারবা
[রবীন্দ্রসংগীত
: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। (প্যাপিরাস, ডিসেম্বর, ২০০৬)।
পৃষ্ঠা: ৬০ ]
-
রাগ: দেশ। তাল:
কাহারবা।
[রাগরাগিণীর
এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য
সংগীত আকাদেমী, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ১০৪]
-
গ্রহস্বর-
রমা।
- লয়-মধ্য।