বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
শিরোনাম: এ কি
অন্ধকার এ ভারতভূমি!
পাঠ ও পাঠভেদ:
- গীতবিতান (বিশ্বভারতী, কার্তিক ১৪১২)-এর পাঠ: জাতীয় সংগীত ৪ ।
এ কি
অন্ধকার এ ভারতভূমি!
বুঝি, পিতা, তারে ছেড়ে গেছ তুমি।
প্রতি
পলে পলে ডুবে রসাতলে-কে তারে উদ্ধার করিবে॥
চারি
দিকে চাই, নাহি হেরি গতি। নাহি যে আশ্রয়, অসহায় অতি।
আজি এ আঁধারে বিপদপাথারে কাহার চরণ ধরিবে।
তুমি
চাও পিতা, ঘুচাও এ দুখ। অভাগা দেশের হোয়ো না বিমুখ-
নহিলে আঁধারে বিপদপাথারে কাহার চরণ ধরিবে।
দেখো
চেয়ে তব সহস্র সন্তান লাজে নতশির, ভয়ে কম্পমান,
কাঁদিছে সহিছে শত অপমান- লাজ মান আর থাকে না।
হীনতা
লয়েছে মাথায় তুলিয়া, তোমারেও তাই গিয়াছে ভুলিয়া,
দয়াময় ব’লে আকুলহৃদয়ে তোমারেও তারা ডাকে না।
তুমি
চাও পিতা, তুমি চাও চাও। এ হীনতা-পাপ এ দুঃখ ঘুচাও।
ললাটের কলঙ্ক মুছাও মুছাও-নহিলে এ দেশ থাকে না।
তুমি
যবে ছিলে এ পুণ্যভবনে কী সৌরভসুধা বহিত পবনে,
কী আনন্দগান উঠিত গগনে, কী প্রতিভাজ্যোতি ঝলিত।
ভারত-অরণ্যে ঋষিদের গান অনন্তসদনে করিত প্রয়ান-
তোমারে চাহিয়া পুণ্যপথ দিয়া সকলে মিলিয়া চলিত।
আজি কী
হয়েছে! চাও পিতা, চাও! এ তাপ এ পাপ এ দুখ ঘুচাও।
মোরা তো রয়েছি তোমারি সন্তান
যদিও হয়েছি পতিত॥
-
পাণ্ডুলিপির পাঠ:
রবীন্দ্রনাথের পাণ্ডুলিপি পাওয়া যায় নি।
-
পাঠভেদ:
-
তথ্যানুসন্ধান
- ক.
রচনাকাল ও স্থান:
- খ.
প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
- গ্রন্থ:
-
গীতবিতান
-
অখণ্ড সংস্করণ,
তৃতীয় সংস্করণ
( বিশ্বভারতী,
পৌষ ১৩৮০
বঙ্গাব্দ)।
'জাতীয় সংগীত' পর্যায়ের চতুর্থ গান।
-
রবিচ্ছায়া (সাধারণ ব্রহ্মসমাজ যন্ত্র, ১২৯২)।
জাতীয় সঙ্গীত ৩।
রাগিণী
প্রভাতী-তাল একতাল। পৃষ্ঠা: ১৬১-১৬২। [নমুনা:
প্রথমাংশ,
শেষাংশ ]
-
রবীন্দ্রগ্রন্থাবলী
(হিতবাদী ১৩১১)। ব্রহ্মসঙ্গীত। রাগিণী প্রভাতী-তাল একতাল। গান সংখ্যা ২৮৭। পৃষ্ঠা: ১০২৮
[নমুনা]
-
স্বরবিতান সপ্তচত্বারিংশ
(৪৭) খণ্ডের নবম গান। পৃষ্ঠ : ৩৬-৩৮।
গ.
সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
-
স্বরলিপিকার:
-
সুর ও তাল:
-
রাগ: প্রভাতী (গুজরাটি)।
তাল: দাদরা।
[রবীন্দ্রসংগীত : রাগ-সুর নির্দেশিকা । সুধীর চন্দ।
(প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬)। পৃষ্ঠা: ৩৫]।
- রাগ: যোগিয়া, বিভাস
(বাংলা), গুজরাটি। তাল: দাদরা।
[রাগরাগিণীর
এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য
সংগীত আকাদেমী, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ৬৬]