বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা: ২৪
শিরোনাম:
বসন্তপ্রভাতে এক মালতীর ফুল
পাঠ ও পাঠভেদ:
বসন্তপ্রভাতে এক মালতীর ফুল
প্রথম মেলিল আঁখি তার, চাহিয়া দেখিল চারি ধার॥
উষারানী দাঁড়াইয়া শিয়রে তাহার
দেখিছে ফুলের ঘুম-ভাঙা। হরষে কপোল তার রাঙা॥
মধুকর গান গেয়ে বলে, ‘মধু কই। মধু দাও দাও।’
হরষে হৃদয় ফেটে গিয়ে ফুল বলে, ‘এই লও লও।’
বায়ু আসি কহে কানে কানে, ‘ফুলবালা, পরিমল দাও।’
আনন্দে কাঁদিয়া কহে ফুল, ‘যাহা আছে সব লয়ে যাও।’
হরষ ধরে না তার চিতে, আপনারে চাহে বিলাইতে,
বালিকা আনন্দে কুটি-কুটি পাতায় পাতায় পড়ে লুটি॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: রবীন্দ্রনাথের পাণ্ডুলিপি Ms.N 231 -তে গানটি পাওয়া যায়। [নমুনা]
পাঠভেদ:
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান: আহমেদাবাদে বসবাসকালে রবীন্দ্রনাথ মালতীপুঁতির যে খসড়া করেছিলেন, তাতে কয়েকটি গান পাওয়া যায়। এ প্রসঙ্গে প্রশান্তকুমার পাল তাঁর রবিজীবনী দ্বিতীয় খণ্ডে (আনন্দ পাবলিশার্স লিমিটেড, ১৩৯১ শ্রাবণ ২২। পৃষ্ঠা ১০২) লিখেছেন- '... রুদ্রচণ্ড আহমেদাবাদ বাসের সময় রচিত হলে এর মধ্যে গাথার লক্ষণ থাকা অস্বাভাবিক নয়। তাছাড়া একথাও মনে রাখা দরকার, নাটিকার তৃতীয় দৃশ্যের অন্তর্গত 'বসন্তপ্রভাতে এক মালতীর ফুল' ও 'তরুতলে ছিন্নবৃন্ত মালতীর ফুল' গান দুটির পাণ্ডুলিপি মালতীপুঁথির 15/৮ক, 16/৮খ এবং 13/৭ক পৃষ্ঠায় পাওয়া যায়; ...'। এই সূত্রে বলা যায় এই গান দুটি ১৭ বৎসর বয়সের রচনা।
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী: