সখা, তুমি আছ কোথা সারা বরষের পরে জানাতে এসেছি ব্যথা ॥
কত মোহ, কত পাপ, কত শোক, কত তাপ ,
কত যে সয়েছি আমি তোমারে কব সে কথা ॥
যে শুভ্র জীবন তুমি মোরে দিয়েছিলে সখা,
দেখো আজি তাহে কত পড়েছে কলঙ্করেখা।
এনেছি তোমারি কাছে , দাও তাহা দাও মুছে -
নয়নে ঝরিছে বারি , দেখো সভয়ে এসেছি পিতা< ॥
দেখো দেব, চেয়ে দেখো হৃদয়েতে নাহি বল -
সংসারের বায়ুবেগে করিতেছে টলমল।
লহো সে হৃদয় তিলে, রাখো তব পদমূলে-
সারাটি বরষ যেন নির্ণয়ে রহে গো সেথা ॥
পত্রিকা:
তত্ত্ববোধিনী (জ্যৈষ্ঠ ১২৯০), কলকাতায় আদি ব্রাহ্মসমাজ মন্দিরে 'নববর্ষ' -এ গীত হয়, ২৮, রাগিনী টোড়ি-তাল একতালা।
রেকর্ডসূত্র:
প্রকাশের কালানুক্রম: কলকাতায়
আদি ব্রাহ্মসমাজ মন্দিরে 'নববর্ষ' -এ গীত হয়।
গ. সঙ্গীতবিষয়ক তথ্যাবলি:
স্বরলিপি: [স্বরলিপি]। পাণ্ডুলিপি হতে স্বরবিতান পঞ্চচত্বারিংশ খণ্ডে গৃহীত।
স্বরলিপিকার:
সুর ও তাল:
স্বরবিতান পঞ্চচত্বারিংশ খণ্ডে (বিশ্বভারতী, চৈত্র ১৪১৩) গৃহীত গানটির স্বরলিপিতে রাগ-তালের নাম হিসেবে উল্লেখ রয়েছে ভৈরবী ও একতাল।
রাগ : ভৈরবী। তাল : একতাল। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা, সুধীর চন্দ, প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬], পৃষ্ঠা: ৮০।
রাগ: ভৈরবী। তাল: একতাল। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১], পৃষ্ঠা: ১৩৮।
বিষয়াঙ্গ:
সুরাঙ্গ:
গ্রহস্বর: ণদা।
লয়: দ্রুত।