বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
৪৬
শিরোনাম:
ছি ছি সখা,
কী করিলে, কোন্ প্রাণে পরশিল
পাঠ ও পাঠভেদ:
ছি ছি সখা, কী করিলে, কোন্ প্রাণে পরশিলে-
কামিনীকুসুম ছিল বন আলো করিয়া।
মানুষ-পরশ-ভরে শিহরিয়া সকাতরে
ওই-যে শতধা হয়ে পড়িল গো ঝরিয়া।
জান তো কামিনী-সতী কোমল কুসুম অতি-
দূর হতে দেখিবার, ছুঁইবার নহে সে।
দূর হতে মৃদু বায় গন্ধ তার দিয়ে যায়,
কাছে গেলে মানুষের শ্বাস নাহি সহে সে।
মধুপের পদক্ষেপে পড়িতেছে কেঁপে কেঁপে,
কাতর হতেছে কত প্রভাতের সমীরে।
পরশিতে রবিকর শুকাইছে কলেবর,
শিশিরের ভরটুকু সহিছে না শরীরে।
হেন কোমলতাময় ফুল কি না ছুঁলে নয়-
হায় রে কেমন বন ছিল আলো করিয়া।
মানুষ-পরশ-ভরে শিহরিয়া সকাতরে
ওই-যে শতধা হয়ে পড়িল গো ঝরিয়া॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: পাওয়া যায় নি।
পাঠভেদ:
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে কিছু জানা যায় নাই। ভারতী পত্রিকার 'ভাদ্র ১২৮৭' সংখ্যায় এই গানটি প্রকাশিত হয়েছিল। ভারতী পত্রিকায় গানটি প্রকাশের সময় (ভাদ্র ১২৮৭) রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল - ১৯ বৎসর ৩-৪ মাস।
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ:
কাব্যগ্রন্থাবলী [আদি ব্রাহ্মসমাজ প্রেস, ১৩০৩। 'কৈশোরক' অংশ। শিরোনাম 'কামিনী'। পৃষ্ঠা: ২] [নমুনা]
গান (ইন্ডিয়ান প্রেস, ১৩১৬)
অখণ্ড তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী ১৩৮০)। পরিশিষ্ট ৩। গান ৮।
রবিচ্ছায়া [সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ যন্ত্র, ১২৯২। বিবিধ ৪৩। মিশ্র ছায়ানট-ঝাঁপতাল। পৃষ্ঠা: ৪০। [নমুনা]
শৈশব সঙ্গীত (আদি ব্রাহ্মসমাজ যন্ত্র, ১২৯১)
পত্রিকা:
ভারতী (অগ্রহায়ণ ১২৮৭ বঙ্গাব্দ)। কামিনী ফুল। রাগিণী জয়জয়ন্তী- তাল ঝাঁপতাল। পৃষ্ঠা: ২২৯।
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী: গানটির সুর পাওয়া যায় নি।