সোনার পিঞ্জর ভাঙিয়ে আমার প্রাণের পাখিটি উড়িয়ে যাক।
সে যে হেথা গান গাহে না! সে যে মোরে আর চাহে না!
সুদূর কানন হইতে সে যে শুনেছে কাহার ডাক-
পাখিটি উড়িয়ে যাক॥
মুদিত নয়ন খুলিয়ে আমার সাধের স্বপন যায় রে যায়।
হাসিতে অশ্রুতে গাঁথিয়া গাঁথিয়া দিয়েছিনু তার বাহুতে বাঁধিয়া
আপনার মনে কাঁদিয়া কাঁদিয়া ছিঁড়িয়া ফেলেছে হায় রে হায়,
সাধের স্বপন যায় রে যায়॥
যে যায় সে যায়, ফিরিয়ে না চায়, যে থাকে সে শুধু করে হায় হায়-
নয়নের জল নয়নে শুকায়- মরমে লুকায় আশা।
বাঁধিতে পারে না আদরে সোহাগে- রজনী পোহায়, ঘুম হতে জাগে,
হাসিয়া কাঁদিয়া বিদায় সে মাগে- আকাশে তাহার বাসা।
যায় যদি তবে যাক। একবার তবু ডাক্।
কী জানি যদি রে প্রাণ কাঁদে তার তবে থাক্, তবে থাক্,॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: পাওয়া যায়নি।
পাঠভেদ:
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান:
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ:
দশম খণ্ড [ইন্ডিয়ান প্রেস, ১৩২৩ বঙ্গাব্দ, ১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দL বিবিধ সঙ্গীত। পৃষ্ঠা: ১০২-১০৩] [নমুনা] [নমুনা প্রথমাংশ, দ্বিতীয়াংশ]
কাব্যগ্রন্থাবলী (আশ্বিন ১৩০০), কৈশোরক, বিদায়ের গান।
গানের বহি (বৈশাখ ১৩০০), ১৭৩।
অখণ্ড, তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, কার্তিক ১৪১২), পর্যায়: প্রেম ও প্রকৃতি ১১, পৃষ্ঠা: । [নমুনা]
রবিচ্ছায়া [সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ যন্ত্র, ১২৯২। বিবিধ ৫২। পৃষ্ঠা: ৪৮-৪৯।[নমুনা: প্রথমাংশ, শেষাংশ]
শৈশবসঙ্গীত
(জ্যৈষ্ঠ ১২৯১) 'অপ্সরা প্রেম'।
রবীন্দ্ররচনাবলী অচলিত সংগ্রহ প্রথম খণ্ড, পৃষ্ঠা ৪৯০।
রেকর্ডসূত্র:
প্রকাশের
কালানুক্রম:
গ. সঙ্গীতবিষয়ক তথ্যাবলি:
স্বরলিপি: স্বরলিপি নাই।
সুর ও তাল:
রাগ : ভৈরবী। [রবীন্দ্রসঙ্গীতে রাগ-নির্ণয়। ভি.ভি. ওয়াঝলওয়ার। রবীন্দ্রনাথের প্রেমের গান ।সংগীত-শিক্ষায়তন। বৈশাখ ১৩৯০। পৃষ্ঠা : ৮২]
রাগ : ভৈরবী। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা, সুধীর চন্দ, প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬], পৃষ্ঠা: ৮২।
রাগ: ভৈরবী। তাল: একতাল। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১], পৃষ্ঠা: ১৪৩।