সাধের কাননে মোর রোপণ করিয়াছিনু
একটি লতিকা, সখী, অতিশয় যতনে।
প্রতিদিন দেখিতাম কেমন সুন্দর ফুল
ফুটিয়াছে শত শত হাসি-হাসি আননে।
প্রতিদিন সযতনে ঢালিয়া দিতাম জল,
প্রতিদিন ফুল তুলে গাঁথিতাম মালিকা।
সোনার লতাটি আহা বন করেছিল আলো-
সে লতা ছিঁড়িতে আছে নিরদয় বালিকা?
কেমন বনের মাঝে আছিল মনের সুখে
গাঁঠে গাঁঠে শিরে শিরে জড়াইয়া পাদপে।
প্রেমের সে আলিঙ্গনে স্নিগ্ধ রেখেছিল তারে
কোমল পল্লবদলে নিবারিয়া আতপে।
এতদিন ফুলে ফুলে ছিল ঢলোঢলো মুখ,
শুকায়ে গিয়াছে আজি সেই মোর লতিকা।
ছিন্ন অবশেষটুকু এখনো জড়ানো বুকে-
এ লতা ছিঁড়িতে আছে নিরদয় বালিকা?।
পাণ্ডুলিপির পাঠ: পাওয়া যায়নি।
পাঠভেদ:
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান: রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায় নাই। গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ভারতী পত্রিকার 'অগ্রহায়ণ ১২৯১' সংখ্যায়। ধারণা করা হয়, এর কাছাকাছি সময়ে গানটি রচিত হয়েছিল। এই সময়ে রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ১৬ বৎসর।
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ:
অখণ্ড, তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, কার্তিক ১৪১২), পর্যায়: প্রেম ও প্রকৃতি ৩০, পৃষ্ঠা: । [নমুনা]
রবিচ্ছায়া [সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ যন্ত্র, ১২৯২। বিবিধ ৩২। পৃষ্ঠা: ২৯-৩০। [নমুনা: প্রথমাংশ, শেষাংশ]
রবীন্দ্ররচনাবলী অচলিত সংগ্রহ প্রথম খণ্ড, বিশ্বভারতী (মাঘ ১৩৯২), পৃষ্ঠা ৪৬৪।
শৈশব সঙ্গীত (আদি ব্রাহ্মসমাজ যন্ত্র ১২৯১) ছিন্নলতিকা ।
রেকর্ডসূত্র:
প্রকাশের
কালানুক্রম:
গ. সঙ্গীতবিষয়ক তথ্যাবলি:
স্বরলিপি: স্বরলিপি পাওয়া যায় না।
সুর ও তাল:
রাগ : জয়জয়ন্তী। [রবীন্দ্রসঙ্গীতে রাগ-নির্ণয়, ভি.ভি. ওয়াঝলওয়ার, রবীন্দ্রনাথের প্রেমের গান, সংগীত-শিক্ষায়তন, বৈশাখ ১৩৯০।], পৃষ্ঠা : ৮২।
রাগ : জয়জয়ন্তী (দেশ)। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা, সুধীর চন্দ, প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬], পৃষ্ঠা: ৮১।
রাগ: জয়জয়ন্তী। তাল: ঝাঁপতাল। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১], পৃষ্ঠা: ১৪১।