সেই যদি সেই যদি ভাঙিল এ পোড়া হৃদি,
সেই যদি ছাড়াছাড়ি হল দুজনায়,
একবার এসো কাছে- কী তাহাতে দোষ আছে।
জন্মশোধ দেখে নিয়ে লইব বিদায়।
সেই গান একবার গাও সখী, শুনি-
যেই গান একসনে গাইতাম দুইজনে,
গাইতে গাইতে শেষে পোহাত যামিনী।
চলিনু চলিনু তবে- এ জন্মে কি দেখা হবে।
এ জন্মের সুখ তবে হল অবসান॥
তবে, সখী, এসো কাছে। কী তাহাতে দোষ আছে।
আরবার গাও, সখী, পুরানো সে গান॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: 'মালতী পুঁথি'র পাণ্ডুলিপিতে (পাণ্ডুলিপি 231) গানটি পাওয়া যায়। [নমুনা]
পাঠভেদ:
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান: মালতী
পুঁথির পাণ্ডুলিপিতে দেখা যায়,
'ওই কথা
বলো সখী' গানটির পরের পৃষ্ঠায় এই গানটি লেখা হয়েছে।
এই সূত্রে ধারণা করা যায়, এই গানগুলি বিলেতে অবস্থানকালেই রচিত হয়েছিল।
এই বিচারে ধারণ করা হয়,
গানটি রবীন্দ্রনাথে ১৮ বৎসর বয়সের
রচিত।
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ. সঙ্গীতবিষয়ক তথ্যাবলি:
স্বরলিপি: স্বরলিপি নাই।
সুর ও তাল:
রাগ : গৌর সারং। [রবীন্দ্রসঙ্গীতে রাগ-নির্ণয়। ভি.ভি. ওয়াঝলওয়ার। রবীন্দ্রনাথের প্রেমের গান ।সংগীত-শিক্ষায়তন। বৈশাখ ১৩৯০। পৃষ্ঠা : ৮১]
রাগ : গৌড় সারং। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা, সুধীর চন্দ, প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬], পৃষ্ঠা: ৮২।
রাগ: গৌড়সারং। তাল: ঝাঁপতাল। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১], পৃষ্ঠা: ১৪৩।
বিষয়াঙ্গ:
সুরাঙ্গ: