বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
শিরোনাম: আবার মোরে পাগল করে

পাঠ ও পাঠভেদ:

আবার মোরে         পাগল করে           দিবে কে।

হৃদয় যেন            পাষাণ-হেন বিরাগ-ভরা         বিবেক

আবার প্রাণে          নূতন টানে            প্রেমের নদী

পাষাণ হতে          উছল স্রোতে          বহায় যদি-

আবার দুটি           নয়নের লুটি          হৃদয় হ’রে    নিবে কে!

আবার মোরে         পাগল করে           দিবে কে

আবার কবে           ধরণী হবে            তরুণা।

কাহার প্রেমে         আসিবে নেমে        স্বরগ হতে    করুণা।

নিশীথনভে            শুনিব কবে            গভীর গান,

যে দিকে চাব         দেখিতে পাব         নবীন প্রাণ,

নূতন প্রীতি           আনিবে নিতি         কুমারী উষা   অরুণা।

আবার কবে           ধরণী হবে            তরুণা।

 

দিবে সে খুলি        এ ঘোর ধূলি-        আবরণ।

তাহার হাতে          আঁখির পাতে         জগত-জাপা    জাগরণ।

সে হাসিখানি          আনিবে টানি          সবার হাসি।

পড়িবে গেহ,         জাগাবে স্নেহ-        জীবনরাশি।

প্রকৃতিবধূ             চাহিবে মধু,          পরিবে নব      আভরণ-

সে দিবে খুলি        এ ঘোর ধূলি-        আবরণ।

 

হৃদয়ে এসে          মধুর হেসে            প্রাণের গান     গাহিয়া

পাগল করে           দিবে সে মোরে       চাহিয়া।

আপনা থাকি          ভাসিবে আঁখি         আকুল নীরে,

ঝরনা-সম             জগত মম             ঝরিবে শিরে-

তাহার বাণী           দিবে গো আনি       সকল বাণী      বাহিয়া।

পাগল করে           দিবে সে মোরে       চাহিয়া