বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
শিরোনাম:
আবার মোরে পাগল করে
পাঠ ও পাঠভেদ:
আবার মোরে পাগল করে দিবে কে।
হৃদয় যেন পাষাণ-হেন বিরাগ-ভরা বিবেক॥
আবার প্রাণে নূতন টানে প্রেমের নদী
পাষাণ হতে উছল স্রোতে বহায় যদি-
আবার দুটি নয়নের লুটি হৃদয় হ’রে নিবে কে!
আবার মোরে পাগল করে দিবে কে॥
আবার কবে ধরণী হবে তরুণা।
কাহার প্রেমে আসিবে নেমে স্বরগ হতে করুণা।
নিশীথনভে শুনিব কবে গভীর গান,
যে দিকে চাব দেখিতে পাব নবীন প্রাণ,
নূতন প্রীতি আনিবে নিতি কুমারী উষা অরুণা।
আবার কবে ধরণী হবে তরুণা।
দিবে সে খুলি এ ঘোর ধূলি- আবরণ।
তাহার হাতে আঁখির পাতে জগত-জাপা জাগরণ।
সে হাসিখানি আনিবে টানি সবার হাসি।
পড়িবে গেহ, জাগাবে স্নেহ- জীবনরাশি।
প্রকৃতিবধূ চাহিবে মধু, পরিবে নব আভরণ-
সে দিবে খুলি এ ঘোর ধূলি- আবরণ।
হৃদয়ে এসে মধুর হেসে প্রাণের গান গাহিয়া
পাগল করে দিবে সে মোরে চাহিয়া।
আপনা থাকি ভাসিবে আঁখি আকুল নীরে,
ঝরনা-সম জগত মম ঝরিবে শিরে-
তাহার বাণী দিবে গো আনি সকল বাণী বাহিয়া।
পাগল করে দিবে সে মোরে চাহিয়া॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: রবীন্দ্র পাণ্ডুলিপি Ms.128।
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
কাব্যগ্রন্থাবলীবলী [আদি ব্রাহ্মসমাজ প্রেস, ১৩০৩। শিরোনাম: নূতন প্রেম। পৃষ্ঠা: ১৫৫-১৫৬] [নমুনা: প্রথমাংশ, দ্বিতীয়াংশ]
গান
ইন্ডিয়ান প্রেস ১৩১৬
অখণ্ড সংস্করণ, তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী ১৩৮০)। প্রেম ও প্রকৃতি পর্যায়ের ৪৯ সংখ্যক গান।
মানসী
প্রথম সংস্করণ
[আদি
ব্রাহ্মসমাজ যন্ত্র, কালিদাস চক্রবর্তী কর্তৃক মুদ্রিত। ১০ পৌষ ১২৯৭ বঙ্গাব্দ।
শিরোনাম: শূন্য হৃদয়ের আকাঙক্ষা।
পৃষ্ঠা: ১৩-১৭] [নমুনা:
প্রথমাংশ,
দ্বিতীয়াংশ,
শেষাংশ]
দ্বিতীয় সংস্করণ [ইন্ডিয়ান প্রেস লিমিটেড, ১৩২৮ বঙ্গাব্দ। শিরোনাম: শূন্য হৃদয়ের আকাঙক্ষা। পৃষ্ঠা: ১২-১৫] [নমুনা: প্রথমাংশ], শেষাংশ]
রবীন্দ্রগ্রন্থাবলী (হিতবাদী ১৩১১)
স্বরবিতান ত্রয়োস্ত্রিংশ (৩৩, কাব্যগীতি) খণ্ডের ১৭ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ৫৭-৬২।
পত্রিকা:
ভারতী ও বালক (শ্রাবণ ১২৯৪)
মানসী
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
সুর ও তাল:
রাগ : কীর্তনাঙ্গ। [রবীন্দ্রসঙ্গীতে রাগ-নির্ণয়। ভি.ভি. ওয়াঝলওয়ার। রবীন্দ্রনাথের প্রেমের গান ।সংগীত-শিক্ষায়তন। বৈশাখ ১৩৯০। পৃষ্ঠা : ৮১]
রাগ: কীর্তন। তাল: ঝম্পক [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬। পৃষ্ঠা: ২৮]