স্বপনলোকের বিদেশিনী কে যেন এলে কে
কোন্ ভুলে-যাওয়া বসন্ত থেকে॥
যা-কিছু সব গেছ ফেলে খুঁজতে এলে হৃদয়ে,
পথ চিনেছ চেনা ফুলের চিহ্ন দেখে॥
বুঝি মনে তোমার আছে আশা
কার হৃদয়ব্যথায় মিলবে বাসা।
দেখতে এলে করুণ বীণা- বাজে কিনা হৃদয়ে,
তারগুলি তার কাঁপে কিনা- যায় কি সে ডেকে॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: পাওয়া যায়নি।
পাঠভেদ: এই গানটির তুলনীয় পাঠ হল 'অনেক দিনের মনের মানুষ' [প্রকৃতি-২৫৬] [তথ্য] গানটি।
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান: ক. রচনাকাল ও স্থান: প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়ের গীতবিতান কালানুক্রমিক
সূচী (২৫ বৈশাখ ১৩৯৯) গ্রন্থে গানটির তারিখ পাওয়া যায়-"পৌষ ১৩২৯ বঙ্গাব্দ"। কিন্তু
প্রশান্তকুমার পাল তাঁর রবিজীবনী অষ্টম খণ্ডে- এই গানসহ আরও কিছু গানের রচনাকাল
নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে লিখেছেন- ‘..তথ্যটি সুনিশ্চিতভাবেই সঠিক নয়’। [পৃষ্ঠা ২৫২]।
রবিজীবনীতে- এই গানের সঠিক তারিখ উল্লেখ করা হয় নি। তবে গানটি যে ১৩২৯ বঙ্গাব্দে
রচিত, এ ব্যাপারে দুজনেই একমত হয়েছেন। এই বিচারে বলা যেতে পারে যে- গানটি
রবীন্দ্রনাথের ৬১ বৎসর বয়সের রচনা।
[দেখুন: ৬১ বৎসর
অতিক্রান্ত বয়সে রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ:
অখণ্ড, তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, কার্তিক ১৪১২), পর্যায়: প্রেম ও প্রকৃতি ৬৫, পৃষ্ঠা: । [নমুনা]
রেকর্ডসূত্র:
প্রকাশের
কালানুক্রম: এই
গানটির রূপান্তরিত পাঠ 'নৃত্যনাট্য মায়ার খেলা'র
পাণ্ডুলিপি হতে সংকলিত নৃত্যনাট্য হতে পরে বর্জিত হয়।
গ. সঙ্গীতবিষয়ক তথ্যাবলি:
স্বরলিপি: স্বরলিপি নাই।
সুর ও তাল:
রাগ : ইমন-পূরবী। তাল : দাদরা। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা, সুধীর চন্দ, প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬], পৃষ্ঠা: ৮৩।
বিষয়াঙ্গ: