৬১ বৎসর অতিক্রান্ত বয়স
২৫ বৈশাখ ১৩২৯ বঙ্গাব্দ (৬ মে ১৯২১ খ্রিষ্টাব্দ) থেকে ২৪ বৈশাখ ১৩৩০ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত (৭ মে ১৯২২- ৬ মে ১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দ)
এই বৎসরের ৩০শে বৈশাখ রবীন্দ্রনাথ
একটি গান রচনা করেন। গানটি হলো
তাঁহার অসীম
মঙ্গললোক হতে
এ বছরের বৈশাখ
থাকেই শান্তিনিকেতনে দাবদাহ চলছিল। জ্যৈষ্ঠ মাসের মাঝামাঝি সময়ে শান্তিনিকতেন
বৃষ্টি নামলে, দাহদাহের তীব্রতা কমে যায়। রবীন্দ্রনাথ বৃষ্টিকে স্বাগত জানিয়ে
৩টি গান রচনা করেন। এই গানগুলো হলো-
২০ জ্যৈষ্ঠ
[শনিবার ৩ জুন, ১৯২২]।
এই সকাল বেলার বাদল-আঁধারে
[প্রকৃতি-৬৭] [তথ্য]
২৩ জ্যৈষ্ঠ
[মঙ্গলবার ৬ জুন, ১৯২২]।
আজি বর্ষারাতের শেষে [প্রকৃতি-৬৯] [তথ্য]
২৮ জ্যৈষ্ঠ
[রবিবার ১১ জুন, ১৯২২]।
কখন বাদল-ছোঁওয়া লেগে
[প্রকৃতি-৬৪] [তথ্য]
১৩২১ বঙ্গাব্দে
প্রকাশিত হয়েছিল ঋণশোধ (শারদোৎসব) প্রকাশিত হয়।
প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় তাঁর গীতবিতান কালানুক্রমিক সূচী গ্রন্থে জ্যৈষ্ঠ মাসে
রচিত আরও কিছু গানের উল্লেখ করেছেন। গানটি হলো-
ক্লান্ত বাঁশির শেষ রাগিণী বাজে [প্রেম-১৭৫]
[তথ্য]
আজ তালের বনের করতালি [প্রকৃতি-৪] [[তথ্য]
আঁধার
কুঁড়ির বাঁধন টুটে [প্রকৃতি-৫] [তথ্য]
হৃদয় আমার,
ওই বুঝি তোর [প্রকৃতি-১৩, প্রেম ও প্রকৃতি ৬৬] [তথ্য]
প্রখর তপনতাপে
[প্রকৃতি-১৮] [তথ্য]
শঙ্খ পত্রিকার আষাঢ় ১৩২৯
সংখ্যায় প্রকাশিত হয় একটি গান। ধারণা করা হয়, এই গানটি রবীন্দ্রনাথ জ্যৈষ্ঠ
মাসে রচনা করেছিলেন। এই গানটি হলো
মনের
মধ্যে নিরবধি [পূজা ও প্রার্থনা -৭৬] [তথ্য]
আষাঢ়
মাসে প্রবল বর্ষণের মধ্যে শান্তিনিকেতনে বর্ষা শুরু হয়। এই সময়ে রচিত ৮টি গানের
ভিতরে- বর্ষার গান ছিল ৫টি। অবশিষ্ট তিনটি গান ছিল পূজা, প্রেম ও প্রেম ও
প্রকৃতি। এই গানগুলো হলো
১ আষাঢ়
[বৃহস্পতিবার ১৫ জুন, ১৯২২]।
বহু যুগের ও পার হতে আষাঢ় [প্রকৃতি-৭১] [তথ্য]
২ আষাঢ় [শুক্রবার ১৬ জুন, ১৯২২]।
আজ নবীন
মেঘের সুর লেগেছে [প্রকৃতি-৬৫] [তথ্য]
১৪ আষাঢ় [বুধবার ২৪ জুন, ১৯২২]।
আজ
আকাশের মনের কথা [প্রকৃতি-৬৬] [তথ্য]
১৬ আষাঢ় [বুধবার ৩০ জুন, ১৯২২]।
ভোর হল যেই শ্রাবণশর্বরী
[প্রকৃতি-৭৫] [তথ্য]
১৮ আষাঢ় [রবিবার ২ জুলাই, ১৯২২]।
আসা-যাওয়ার মাঝখানে
[পূজা-৩৮৭] [তথ্য]
২০ আষাঢ় [মঙ্গলবার ৪ জুলাই, ১৯২২]।
একলা বসে একে একে [প্রেম-২৮৪] [তথ্য]
২৯ আষাঢ় [বৃহস্পতিবার ১৩ জুলাই, ১৯২২]।শ্রাবণমেঘের
আধেক দুয়ার ওই খোলা [প্রকৃতি-৭০] [তথ্য]
৩১ আষাঢ় [শনিবার ১৫ জুলাই, ১৯২২]।
জলে-ডোবা চিকন শ্যামল [প্রেম ও প্রকৃতি ৬৪]
[তথ্য]
প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়
তাঁর গীতবিতান কালানুক্রমিক সূচী গ্রন্থে এই তালিকার বাইরে আরও ১টি গানকে আষাঢ় মাসে রচিত হয়েছিল বলে
উল্লেখ করেছেন। গানটি হলো
নীল দিগন্তে ওই ফুলের আগুন লাগল
[প্রকৃতি-২৬২] [তথ্য]
শ্রাবণ মাসের ২ তারিখে রবীন্দ্রনাথ আত্রাই নদীতে বোটে একটি গান রচনা করেন।
গানটি হলো
আমি কান পেতে রই [পূজা-৫৪৬]
[তথ্য]]
১৩২৯ বঙ্গাব্দের ২২ শ্রাবণ [১৮ জুলাই ১৯২২], শান্তিনিকেতনে বর্ষামঙ্গল উৎসব হয়। উক্ত উৎসব উপলক্ষে বর্ষামঙ্গল নামে একটি পুস্তিকা প্রকাশিত হয়েছিল। ওই পুস্তিকায় মুদ্রিত গান ছিল ১৮টি। এর ভিতরে নতুন গান ছিল ৮টি। গানগুলো হলো—
ওই-যে ঝড়ের মেঘের কোলে [প্রকৃতি-৬৩] [তথ্য]
পুব-সাগরের পার হতে [প্রকৃতি-৬৮] [তথ্য]
আজি হৃদয় আমার যায় যে ভেসে [প্রকৃতি-৭৪] [তথ্য]
এ কী গভীর বাণী এল [প্রকৃতি-৭৩] [তথ্য]
বাদল-বাউল বাজায় রে একতারা [প্রকৃতি-৭২] [তথ্য]
বৃষ্টিশেষের হাওয়া কিসের খোঁজে [প্রকৃতি-৭৬] [তথ্য]
বাদল-ধারা হল সারা [প্রকৃতি-৭৭] [তথ্য]
হৃদয় আমার, ওই বুঝি তোর [প্রকৃতি-১৩, প্রেম ও প্রকৃতি ৬৬] [তথ্য]
ভাদ্র মাসের ২ তারিখে কলকাতার হ্যারিসন রোডে 'বর্ষামঙ্গল ' পুনরায় অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠানের মহড়ার সময় ঘটনাক্রমে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন একটি গান। গানটি হলো—
আমার কণ্ঠ হতে গান কে নিল ভুলায়ে
এই গানটি রচনার প্রেক্ষাপট হিসাবে শান্তিদেব ঘোষ, তাঁর রবীন্দ্রসঙ্গীত গ্রন্থে লিখেছেন— '১৩২৯ সালে কলকাতায় বিশ্বভারতীর তরফ থেকে 'বর্ষামঙ্গলে'র আয়োজন উপলক্ষে অনেক নতুন বর্ষার গান রচিত হয়েছিল। আমরা সব গানের দল কলকাতায় কিছুদিন পূর্বেই জড়ো হয়েছি। খুব জোর মহড়া চলেছিল, জোড়াসাঁকোর বাড়ি সরগরম হয়ে উঠেছিল। এর মধ্যে একদিন হঠাৎ ঠাণ্ডায় গুরুদেবের গলা গেল বসে। বর্ষামঙ্গলে তাঁর আবৃত্তি ইত্যাদি ছিল প্রধান আকর্ষণ, ভাঙা গলা নিয়ে মহা ভাবনায় পড়লেন— নানাপ্রকার ওষুধ পাঁচন নিজে খাচ্ছেন, আমাদেরও খাওয়াচ্ছেন, আমাদেরও গলা যাতে না ভাঙে। সেই ভাঙা গলায় একটি গান রচনা করে দিনেন্দ্রনাথ ও আমাদের সকলকে ডেকে শিখিয়ে দিলেন সন্ধ্যায় গাইবার জন্য। গানটি হল 'আমার কণ্ঠ হতে গান কে নিল ভুলায়ে।'
ভারতী পত্রিকার ভাদ্র ১৩২৯ সংখ্যায় একটি গান প্রকাশিত হয়। সম্ভবত গানটি শ্রাবণ
মাসে রচিত। গানটি হলো—
তার বিদায় বেলার মালাখানি
৪ ভাদ্রে প্রেসিডেন্সি কলেজ
তাঁকে সংবর্ধিত করে।
১৩২৯
বঙ্গাব্দের
৫ ভাদ্র
তারিখে একটি গান রচনা করেন। গানটি হলো—
৫ ভাদ্র [২২
আগষ্ট ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দ] কোন্ খেলা যে খেলবে কখন
শান্তিনিকেতন পত্রিকার ভাদ্র-আশ্বিন ১৩২৯
সংখ্যায় দুটি গান প্রকাশিত হয়। এই গান দুটি হলো—
আমার কণ্ঠ হতে গান কে নিল
সেদিন আমায় বলেছিলে
আশ্বিন মাসে রবীন্দ্রনাথ একটি গান রচনা করেন। গানটি হলো—
সেদিন আমায় বলেছিলে।
ভারতীর পত্রিকার কার্তিক
১৩২৯ সংখ্যায় একটি গান
প্রকাশিত হয়। ধারণা করা হয়, এই গানটিও আশ্বিন মাসেই রচিত হয়েছিল। হলো—
এল যে শীতের বেলা
অগ্রহায়ণ মাসে রবীন্দ্রনাথ একটি গান রচনা
করেন। এই গানটি হলো
অনেক কথা বলেছিলেম কবে তোমার কানে কানে।
স্বরবিতান ত্রিংশ খণ্ডে নিম্নোক্ত গানটির রচনাকাল উল্লেখ করা
হয়েছে-'১০ পৌষ ১৩২৯'।
১০ পৌষ ১৩২৯ [২৫ ডিসেম্বর ১৯২২]
প্রথম আলোর চরণধ্বনি উঠল বেজে যেই [পূজা-৩৪২]
[তথ্য]
এছাড়া এই বৎসরে পৌষ মাসে তিনি ১৪টি গান রচনা করেন। এই
গানগুলোর সুনির্দিষ্ট তারিখ পাওয়া যায় না। এই গানগুলো হলো-
যতখন তুমি আমায় বসিয়ে রাখ বাহির-বাটে [পূজা-২৮]
[তথ্য] এই বছরের
বারে বারে পেয়েছি যে তারে [পূজা-৩৮৮]
[তথ্য]
এ কী সুধারস আনে [প্রেম-১১৮]
[তথ্য]
ফিরবে না তা জানি [প্রেম-২৫৯]
[তথ্য]
শুষ্কতাপের দৈত্যপুরে [প্রকৃতি-২১]
[তথ্য]
হেমন্তে কোন্ বসন্তেরই বাণী [প্রকৃতি-১৭৩]
[তথ্য]
শিউলি-ফোটা ফুরোলো যেই [প্রকৃতি-১৭৭]
[তথ্য]
অনেক দিনের মনের মানুষ [প্রকৃতি-২৫৬]
[তথ্য]
পুরাতনকে বিদায় দিলে না যে [প্রকৃত-২৫৭]
[তথ্য]
ঝরো-ঝরো ঝরো-ঝরো ঝরে রঙের ঝর্না [প্রকৃতি-২৫৮]
[তথ্য]
কত যে তুমি মনোহর [প্রকৃতি-৭]
[তথ্য]
ফাগুনের পূর্ণিমা এল কার লিপি হাতে [প্রকৃতি-২৬৫]
[তথ্য]
আজ তারায় তারায় দীপ্ত শিখার [বিচিত্র-৭৭]
[তথ্য]
স্বপনলোকের বিদেশিনী [প্রেম ও প্রকৃতি ৬৫]
[তথ্য]
১৩ মাঘ [২৭ জানুয়ারি ১৯২৩] গোপন প্রাণে একলা মানুষ [বিচিত্র-২৭] [তথ্য] [নমুনা]
১৮ মাঘ [১ ফেব্রুয়ারি ১৯২৩] খেলাঘর বাঁধতে লেগেছি [বিচিত্র-২৬] [তথ্য] [নমুনা]
১৮ মাঘ [১ ফেব্রুয়ারি ১৯২৩] ও আমার চাঁদের আলো [প্রকৃতি-২২২] [তথ্য] [নমুনা]
১৯ মাঘ [২ ফেব্রুয়ারি ১৯২৩] নিশীথরাতের প্রাণ [প্রকৃতি-২৬৮] [তথ্য] [নমুনা]
২০ মাঘ [৩ ফেব্রুয়ারি ১৯২৩] কে দেবে চাঁদ, তোমায় দোলা (ও চাঁদ, তোমায় দোল) [প্রকৃতি-২২৩] [তথ্য] [নমুনা]
২০ মাঘ [৩ ফেব্রুয়ারি ১৯২৩] ওই) ভাঙল হাসির বাঁধ [প্রকৃতি-২২১] [তথ্য]
২১ মাঘ [৪ ফেব্রুয়ারি ১৯২৩] ধীরে ধীরে ধীরে বও [প্রকৃতি-২১৭] [তথ্য]
২২ মাঘ [৫ ফেব্রুয়ারি ১৯২৩] বাকি আমি রাখব না [প্রকৃতি-২১৪] [তথ্য]
২২ মাঘ [৫ ফেব্রুয়ারি ১৯২৩] ফল ফলাবার আশা [প্রকৃতি-২১৫] [তথ্য]
২২ মাঘ [৫ ফেব্রুয়ারি ১৯২৩] সে কি ভাবে গোপন রবে (তুমি ভাব লুকিয়ে রবে) [প্রকৃতি-২২০] [তথ্য] [নমুনা]
২৩ মাঘ [৬ ফেব্রুয়ারি ১৯২৩] এ বেলা ডাক পড়েছে কোন্ খানে [প্রকৃতি-২২৮] [তথ্য] [নমুনা]
২৩ মাঘ [৬ ফেব্রুয়ারি ১৯২৩] আজ দখিন-বাতাসে [প্রকৃতি-২২৬] [তথ্য] [নমুনা]
২৭ মাঘ [১০ ফেব্রুয়ারি ১৯২৩] বিদায় যখন চাইবে তুমি [প্রকৃতি-২২৭] [তথ্য] [নমুনা]
২৭ মাঘ [১০ ফেব্রুয়ারি ১৯২৩] শুকনো পাতা কে যে ছড়ায় [প্রকৃতি-২২৪] [তথ্য]
২৭ মাঘ [১০ ফেব্রুয়ারি ১৯২৩] সহসা ডালপালা তোর উতলা যে [প্রকৃতি-২১৯] [তথ্য] [নমুনা]
২৭ মাঘ [১০ ফেব্রুয়ারি ১৯২৩] সব দিবি কে, সব দিবি পায় [প্রকৃতি-২১৩] [তথ্য] [নমুনা]
২৭ মাঘ [১০ ফেব্রুয়ারি ১৯২৩] যদি তারে নাই চিনি গো [প্রকৃতি-২১৬] [তথ্য] [নমুনা]
২৮ মাঘ [১১ ফেব্রুয়ারি ১৯২৩] এবার বিদায়বেলার সুর ধর [প্রকৃতি-২৩০] [তথ্য] [নমুনা]
২৮ মাঘ [১১ ফেব্রুয়ারি ১৯২৩] আজ খেলা ভাঙার খেলা [প্রকৃতি-২৩১] [তথ্য] [নমুনা]
২৮ মাঘ [১১ ফেব্রুয়ারি ১৯২৩] না রে, না রে, ভয় করব [পূজা-১৭৯] [তথ্য]
২৯ মাঘ [১২ ফেব্রুয়ারি ১৯২৩] এখন আমার সময় হল [পূজা-৫৭৭] [তথ্য] [নমুনা]
২৯ মাঘ [১২ ফেব্রুয়ারি ১৯২৩] ওরে পথিক, ওরে প্রেমিক [পূজা-৫৭৮] [তথ্য]
২৯ মাঘ [১২ ফেব্রুয়ারি ১৯২৩] গানগুলি মোর শৈবালেরই দল [প্রেম-৫] [তথ্য] [নমুনা প্রথম, দ্বিতীয়]
২৯ মাঘ [১২ ফেব্রুয়ারি ১৯২৩] তোমার বাস কোথা যে পথিক [প্রকৃতি-২২৫] [তথ্য] [নমুনা]
২৯ মাঘ [১২ ফেব্রুয়ারি ১৯২৩] না যেয়ো না, যেয়ো নাকো [প্রকৃতি-২২৯] [তথ্য] [নমুনা]
১৩২৯
বঙ্গাব্দের বসন্তোৎসবের জন্য ১টি গান রচিত হয়েছিল। গানটি হলো-
বুঝি ওই সুদূরে ডাকিল মোরে [পূজা
ও প্রকৃতি-৭৯] [তথ্য]
ফাল্গুন মাসে রবীন্দ্রনাথ
অনেকগুলো গান রচনা করেন। এর ভিতরে ৩টি গানের সুনির্দিষ্ট তারিখ জানা যায় না। এই
গানগুলো হলো
যুগে যুগে বুঝি আমায় [প্রেম-২৫৪] [তথ্য]
খেলার সাথি,
বিদায়দ্বার খোলো
[পূজা
ও প্রার্থনা -৭৭] [তথ্য]
দ্বারে কেন দিলে নাড়া [প্রেম-৩৪৬] [তথ্য]
ফাল্গুন মাসে রচিত অন্যান্য গানগুলো হলো-
৫ ফাল্গুন [১৭ ফেব্রুয়ারি ১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দ] দখিন-হাওয়া জাগো জাগো [প্রকৃতি-২১৮] [তথ্য]
৭ ফাল্গুন [১৯ ফেব্রুয়ারি ১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দ] আজি মর্মরধ্বনি কেন জাগিল রে [পূজা-৩৪১] [তথ্য]
১১ ফাল্গুন [২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দ] যাওয়া-আসারই এই কি খেলা [পূজা ও প্রকৃতি-৭৮]
শান্তিনিকেতন থেকে রবীন্দ্রনাথ কাশী আসেন। কাশীতে থাকাকালীন সময়ে ২টি গান রচনা
করেন। গান দুটি হলো-
১৯ ফাল্গুন [৩
মার্চ ১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দ]
নাই বা এলে যদি সময় নাই [প্রেম-১৫৫]
[তথ্য]
১৯ ফাল্গুন [৩ মার্চ ১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দ]
নাই যদি বা এলে তুমি [প্রেম-২৬৫]
[তথ্য]
কাশী থেকে রবীন্দ্রনাথ লক্ষ্ণৌতে যান।
সেখান থেকে ২৬ ফাল্গুন বোম্বাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হন। পথে তিনি একটি গান রচনা করেন।
গানটি হলো—
২৬
ফাল্গুন [১০ মার্চ ১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দ]
তোমার শেষের গানের রেশ নিয়ে
[প্রেম-২৫] [তথ্য]
এবারের
ভ্রমণের আহমেদাবাদে
একটি গান রচনা করেন। গানটি হলো
২৯
ফাল্গুন [১৩ মার্চ ১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দ]
তোমায় গান শোনাব [প্রেম-৬]
[তথ্য]
ফাল্গুন-চৈত্র মাসের কোনো এক সময়ে রচিত গান রয়েছে ২টি। ফাল্গুন মাসের প্রথমার্থে
রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতন ছিলেন। এরপর তিনি ভ্রমণে বের হন। কাশী, লক্ষ্ণৌ,
আহমেদাবাদ, করাচি, কাঠিয়াবাড় ভ্রমণ করেন। তাই এই গান ২টি এ
দুটি স্থানের যে
কোনো স্থানে রচিত হতে পারে
বলে অনুমান করা যায়।
তিনি এই গান দুটি
লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথের পাণ্ডুলিপি
RBVBMS 464
-তে।
হিয়ামাঝে গোপনে
হেরিয়ে তোমারে [প্রেম ও প্রকৃতি ৬৮] [তথ্য]
এসো শরতের অমলমহিমা (এস বেদনার কমলদলে) [প্রকৃতি-১৬১]
[তথ্য]
[নমুনা]
ফাল্গুন
মাসের শেষে রবীন্দ্রনাথ আহমেদাবাদ পৌঁছে একটি গান রচনা করেছিলেন। এই স্থানে তিনি
দ্বিতীয় গান রচনা করেন ২ চৈত্র। গানটি হলো-
২ চৈত্র [১৬
মার্চ ১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দ]
হাটের ধুলা সয়
না যে আর [বিচিত্র-২০] [তথ্য]
এরপর তিনি
আহমেদাবাদ
থেকে করাচি যান। এখানে তিনি একটি গান রচনা করেন। গানটি হলো-
১৫ চৈত্র [২৯
মার্চ ১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দ]
পাখি বলে,
‘চাঁপা,
আমারে কও [বিচিত্র-৯৪] [তথ্য]
এরপর
কাঠিয়াবাড়/পোরবন্দরে বসে তিনি রচনা করেন ২টি গান।
২০ চৈত্র [৬
এপ্রিল ১৯২৩]
তোমার বীণায় গান ছিল [প্রেম-২৪৪] [তথ্য]
২৪ চৈত্র [৭ এপ্রিল ১৯২৩]
ওরে বকুল, পারুল ওরে
[প্রকৃতি-২৬৭,
প্রেম ও প্রকৃতি- ৬৭]
[তথ্য]
১৩২৯ বঙ্গাব্দে রচিত
একটি গান পাওয়া যায়, যার সাথে মাস বা তারিখের উল্লেখ নাই। এই গানটি হলো-
হে
তাপস, তব শুষ্ক কঠোর [প্রকৃতি ২২] [তথ্য]
চৈত্র মাসের শেষে তিনি শান্তিনিকেতন ফিরে আসেন। এই সময় তিনি ২টি গান রচনা করেন।
এই গান দুটি তিনি লিখেছিলেন
RBVBMS 464
পাণ্ডুলিপিতে। গান দুটি হলো-
৩০ চৈত্র [১৩ এপ্রিল ১৯২৩] দুই হাতে—কালের মন্দিরা [বিচিত্র-৫] [তথ্য] [নমুনা]
৪ বৈশাখ [১৭ এপ্রিল ১৯২৩] ভরা থাক্ স্মৃতিসুধায় [প্রেম-২৩৯] [তথ্য]
৪ বৈশাখ [১৭ এপ্রিল ১৯২৩] অগ্নিশিখা, এসো এসো, আনো আনো আলো [আনুষ্ঠানিক-১৭] [তথ্য]
বৈশাখ
১৩০০ উল্লেখ আছে এমন দুটি গান পাওয়া যায়। এর ভিতর প্রথম গানটি বৈশাখ ১৩০০ সংখ্যায়
প্রকাশিত হয়েছিল। ধারণা করা যায়, গানটি ২৫শে বৈশাখের আগেই রচিত হয়েছিল। এই গানটি
হলো
আজি মর্মরধ্বনি কেন জাগিল রে
[পূজা-৩৪১] [তথ্য]
অপর একটি গানটি প্রবাসী'র জ্যৈষ্ঠ ১৩০০ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল। প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় 'গীতবিতান কালানুক্রমিক সূচী ' অনুসারে এই গানটিকে ৬২ বৎসর বয়সের প্রথম গান হিসেবে উল্লেখ করা হলো।