- গীতবিতান (বিশ্বভারতী, কার্তিক ১৪১২)-এর পাঠ: পূজা: ২৮
যতখন তুমি আমায় বসিয়ে রাখ বাহির-বাটে
ততখন গানের পরে গান গেয়ে মোর প্রহর কাটে ॥
যবে শুভক্ষণে ডাক পড়ে সেই ভিতর-সভার মাঝে
এ গান লাগবে বুঝি কাজে
তোমার সুরের রঙের রঙিন নাটে ॥
তোমার ফাগুনদিনের বকুল চাঁপা, শ্রাবণদিনের কেয়া,
তাই দেখে তো শুনি তোমার কেমন যে তান দে’য়া।
আমি উতল প্রাণে আকাশ-পানে হৃদয়খানি তুলি
বীণায় বেঁধেছি গানগুলি
তোমার সাঁঝ-সকালের সুরের ঠাটে ॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: পাওয়া যায়নি।
পাঠভেদ:
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান: প্রভাতকুমার
মুখোপাধ্যায়ের গীতবিতান কালানুক্রমিক সূচী (২৫ বৈশাখ ১৩৯৯) গ্রন্থে গানটির
তারিখ পাওয়া যায়-"পৌষ ১৩২৯ বঙ্গাব্দ"। কিন্তু প্রশান্তকুমার পাল তাঁর রবিজীবনী
অষ্টম খণ্ডে- এই গানসহ আরও কিছু গানের রচনাকাল নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে লিখেছেন-
‘..তথ্যটি সুনিশ্চিতভাবেই সঠিক নয়’। [পৃষ্ঠা ২৫২]। রবিজীবনীতে- এই গানের সঠিক
তারিখ উল্লেখ করা হয় নি। তবে গানটি যে ১৩২৯ বঙ্গাব্দে রচিত, এ ব্যাপারে দুজনেই একমত
হয়েছেন। এই বিচারে বলা যেতে পারে যে- গানটি রবীন্দ্রনাথের ৬১ বৎসর বয়সের রচনা।
[দেখুন: ৬১ বৎসর
অতিক্রান্ত বয়সে রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
দ্বিতীয় খণ্ড, প্রথম সংস্করণ (বিশ্বভারতী, আশ্বিন ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ)। পৃষ্ঠা: ৬৪৯ [নমুনা]
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, মাঘ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ)। পর্যায়: পূজা ২৮। উপবিভাগ: গান ২৮। পৃষ্ঠা: ১২ [নমুনা]
অখণ্ড সংস্করণ, তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দ)। পর্যায়: পূজা ২৮। উপবিভাগ: গান ২৮। পৃষ্ঠা: ১৬ [নমুনা]
নবগীতিকা দ্বিতীয় খণ্ড (১৩২৯ বঙ্গাব্দ)। দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
প্রবাহিনী (বিশ্বভারতী, ১৩৩২ বঙ্গাব্দ)। গীতগান ১৬। পৃষ্ঠা: ১৪ [নমুনা]
স্বরবিতান পঞ্চদশ (১৫, নবগীতিকা দ্বিতীয় খণ্ড) খণ্ডের (চৈত্র ১৪১৩) ৩৫ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ১১২-১৪।
প্রকাশের
কালানুক্রম: ১৩২৯ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত 'নবগীতিকা' গ্রন্থের দ্বিতীয় খণ্ডে
দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুরকৃত স্বরলিপিসহ মুদ্রিত হয়েছিল।
পরে ১৩৩২ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ
মাসে প্রকাশিত 'প্রবাহিনী' গ্রন্থে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
১৩৩৮ বঙ্গাব্দে গীতবিতানের
দ্বিতীয় খণ্ডের প্রথম সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত
হয়। এরপর ১৩৪৮ বঙ্গাব্দে গানটি গীতবিতানের প্রথম খণ্ডের দ্বিতীয়
সংস্করণে অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৩৮০ বঙ্গাব্দে গীতবিতানের অখণ্ড সংস্করণে গানটি
পূজা পর্যায়ের ২৮ সংখ্যক গান হিসেবে
অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল।
গ. সঙ্গীতবিষয়ক তথ্যাবলি:
স্বরলিপি: [নমুনা]
স্বরলিপিকার: দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর
সুর ও তাল:
স্বরবিতান পঞ্চদশ (১৫, নবগীতিকা দ্বিতীয় খণ্ড) খণ্ডে (চৈত্র ১৪১৩) গৃহীত স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিতে ছন্দোবিভাজন দেখানো হয়েছে, ৩।৩ মাত্রা ছন্দে দাদরা তালে নিবদ্ধ।
কীর্তন। তাল:
দাদরা
।
[রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত,
প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমী, জুলাই ২০০১।] পৃষ্ঠা: ১২৯।
[দাদরা
তালে নিবদ্ধ রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
[রবীন্দ্রনাথের
কীর্তনাঙ্গের গানের তালিকা]
গ্রহস্বর: মা।
লয়: মধ্য।