মনের মধ্যে নিরবধি শিকল গড়ার কারখানা।
একটা বাঁধন কাটে যদি বেড়ে ওঠে চারখানা॥
কেমন ক’রে নামবে বোঝা, তোমার আপদ নয় যে সোজা-
অন্তরেতে আছে যখন ভয়ের ভীষণ ভারখানা॥
রাতের আঁধার ঘোচে বটে বাতির আলো যেই জ্বালো,
মূর্ছাতে যে আঁধার ঘটে রাতের চেয়ে ঘোর কালো।
ঝড়-তুফানে ঢেউয়ের মারে তবু তরী বাঁচতে পারে,
সবার বড়ো মার যে তোমার ছিদ্রটার ওই মারখানা॥
পর তো আছে লাখে লাখে, কে তাড়াবে নিঃশেষে।
ঘরের মধ্যে পর যে থাকে পর করে দেয় বিশ্বে সে।
কারাগারের দ্বারী গেলে তখনি কি মুক্তি মেলে।
আপনি তুমি ভিতর থেকে চেপে আছ দ্বারখানা।
শূন্য ঝুলির নিয়ে দাবি রাগ ক’রে রোস্ কার ’পরে।
দিতে জানিস তবেই পাবি, পাবি নে তো ধার ক’রে।
লোভে ক্ষোভে উঠিস মাতি, ফল পেতে চাস রাতারাতি-
আপন মুঠো করলে ফুটো আপন খাঁড়ার ধারখানা॥
গীতবিতানের পূজা ও প্রার্থনা পর্যায়ের ৭৬ সংখ্যক গান।
প্রবাহিনী (বিশ্বভারতী ১৩৩২ বঙ্গাব্দ)। বিবিধ ৩২। পৃষ্ঠা: ১২০-১২১। [নমুনা: প্রথমাংশ, শেষাংশ]
স্বরবিতান পঞ্চদশ (১৫, নবগীতিকা দ্বিতীয় খণ্ড) খণ্ডের ৫৮ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা : ১৮৩-১৮৭।
অঙ্গ: বাউল। তাল:
অঙ্গ: কীর্তন। তাল: দাদরা। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, জুলাই ২০০১], পৃষ্ঠা: ১২৫।