বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
ও আমার চাঁদের
আলো, আজ ফাগুনের
সন্ধ্যাকালে
পাঠ ও পাঠভেদ:
ও আমার চাঁদের আলো, আজ ফাগুনের সন্ধ্যাকালে
ধরা দিয়েছ যে আমার পাতায় পাতায় ডালে ডালে॥
যে-গান তোমার সুরের ধারায় বন্যা জাগায় তারায় তারায়
মোর আঙিনায় বাজল গো, বাজল সে-সুর আমার প্রাণের তালে-তালে॥
সব কুঁড়ি মোর ফুটে ওঠে তোমার হাসির ইশারাতে।
দখিন-হাওয়া দিশাহারা আমার ফুলের গন্ধে মাতে।
শুভ্র, তুমি করলে বিলোল আমার প্রাণে রঙের হিলোল—
মর্মরিত মর্ম গো,
মর্ম আমার জড়ায় তোমার হাসির জালে॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ:
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান: RBVBMS 476 পাণ্ডুলিপিতে গানটির সাথে রচনার তারিখ উল্লেখ আছে- '১৮ মাঘ/১৩২৯'।
[১ ফেব্রুয়ারি ১৯২৩]। শান্তিনিকেতন।
গানটি রবীন্দ্রনাথের ৬১
বৎসর
৯ মাস বয়সের রচনা।
[রবীন্দ্রনাথের
৬১ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রচিত গানের তালিকা]
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ
ঋতু-উৎসব [বিশ্বভারতী। ১৩৩৩ বঙ্গাব্দ। বসন্ত। বকুলের গান। পৃষ্ঠা ১১৫-১১৬] [নমুনা প্রথমাংশ, শেষাংশ]
গীতিচর্চা (পৌষ ১৩৩২ বঙ্গাব্দ)।
বসন্ত (ফাল্গুন ১৩২৯ বঙ্গাব্দ)। বকুলের গান। রবীন্দ্ররচনাবলী পঞ্চদশ খণ্ড (বিশ্বভারতী, ভাদ্র ১৩৯৩ সংস্করণ)
শাপমোচন (চৈত্র ১৩৩৯ সংস্করণ)।
স্বরবিতান ষষ্ঠ (৬, বসন্ত) খণ্ডের (চৈত্র ১৪১৩ বঙ্গাব্দ) ১০ সংখ্যক গান। বাণী অংশ : পৃষ্ঠা ১৯। স্বরলিপি অংশ : পৃষ্ঠা ৫৯-৬১।
পরিবেশনা:
১৩৩৫ বঙ্গাব্দে শান্তিনিকেতনে অনুষ্ঠিত 'বসন্তোৎসব'-এ গানটি পরিবেশিত হয়।
১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দে শাপমোচন নাটিকাটির চতুর্থ পরিবেশন কালে কিছু নতুন গান এর অন্তর্ভূক্ত হয়; তার মধ্যে এই গানটিও ছিল।
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
স্বরলিপিকার: দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর। [স্বরবিতান ষষ্ঠ (৬, বসন্ত) খণ্ড (চৈত্র ১৪১৩ বঙ্গাব্দ)]
সুর ও তাল:
স্বরবিতান ষষ্ঠ (৬, বসন্ত) খণ্ডে (চৈত্র ১৪১৩ বঙ্গাব্দ) গৃহীত স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। গানটি ৩।৩ ছন্দে দাদরা তালে নিবদ্ধ।
রাগ : বেহাগ-খাম্বাজ-বাউল। তাল: দাদরা। [রবীন্দ্রসংগীত : রাগ-সুর নির্দেশিকা । সুধীর চন্দ। (প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬)। পৃষ্ঠা: ৩৯]।