বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
শিরোনাম:
বাদল-বাউল বাজায় রে একতারা
পাঠ
ও পাঠভেদ:
বাদল-বাউল বাজায় রে একতারা-
সারা বেলা ধ’রে ঝরোঝরো ঝরো ধারা॥
জামের বনে ধানের ক্ষেতে আপন তানে আপনি মেতে
নেচে নেচে হল সারা॥
ঘন জটার ঘটা ঘনায় আঁধার আকাশ-মাঝে।
পাতায় পাতায় টুপুর টুপুর নূপুর মধুর বাজে।
ঘর-ছাড়ানো আকুল সুরে উদাস হয়ে বেড়ায় ঘুরে
পুবে হাওয়া গৃহহারা॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ:
পাঠভেদ:
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান:
১৩২৯
বঙ্গাব্দের ২২ শ্রাবণ [১৮ জুলাই ১৯২২], শান্তিনিকেতনে বর্ষামঙ্গল উৎসব হয়। উক্ত
উৎসব উপলক্ষে বর্ষামঙ্গল নামে একটি পুস্তিকা প্রকাশিত হয়েছিল। ওই পুস্তিকায়
মুদ্রিত গান ছিল ১৮টি। এর ভিতরে এই গানটি-সহ নতুন গান ছিল
৮টি।
এই সময় রবীন্দ্রনাথের
বয়স ছিল ৬১ বৎসর
৩ মাস ।
[রবীন্দ্রনাথের ৬১ বৎসর বয়সে রচিত গানের তালিকা]
গীতবিতান-এর প্রকৃতি (উপ-বিভাগ : বর্ষা-৪৭) পর্যায়ের ৭২ সংখ্যক গান।
গীতিচর্চ্চা (পৌষ ১৩৩২ বঙ্গাব্দ)।
নবগীতিকা দ্বিতীয় খণ্ড (১৩২৯ বঙ্গাব্দ)। দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত।
প্রবাহিনী (বিশ্বভারতী ১৩৩২ বঙ্গাব্দ)। ঋতু-চক্র ৩০। পৃষ্ঠা: ১৪৪। [নমুনা]
বর্ষামঙ্গল (শ্রাবণ ১৩২৯ বঙ্গাব্দ)।
স্বরবিতান পঞ্চদশ (১৫, নবগীতিকা দ্বিতীয় খণ্ড) খণ্ডের (চৈত্র ১৪১৩ বঙ্গাব্দ) ৪০ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ১২৮-১২৯।
রেকর্ড:
এইচএমভি।
এন ১৭১৬৭। আগষ্ট
খ্রিষ্টাব্দ ১৯৩৮ । শিল্পী:
পদ্মরাণী চট্টোপাধ্যায়।
তাঁর গাওয়া দুটি রবীন্দ্রসঙ্গীতের উল্লেখ পাওয়া যায় সিদ্ধার্থ
ঘোষের 'রেকর্ডে রবীন্দ্রসঙ্গীত গ্রন্থে [পৃষ্ঠা: ৬০]। এএচএমভি থেকে
প্রকাশিত এই রেকর্ডে নম্বর ছিল- এই গান দুটির সহশিল্পী ছিলেন-
রত্নমালা সেন ও রেবা ঘোষ। এএচএমভির রেকর্ড তালিকায় এন সিরিজের ১৭৭০ থেকে
১৭১৭৮ রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দের আগষ্ট মাসে। তাই
ধারণা করা যায়- এই গান দুটির প্রকাশকালও ছিল এই সময়ে।
প্রকাশের কালানুক্রম: ১৩২৯ সালের শ্রাবণে মাসের শেষ 'বর্ষামঙ্গল' নামে একটি সঙ্গীতানুষ্ঠানের কথা ছিল। পরে এই তারিখ পিছিয়ে ৩১ শ্রাবণ [বুধবার ১৬ আগষ্ট ১৯২২] করা হয়। 'বর্ষামঙ্গল' প্রথম অনুষ্ঠিত হয়েছিল রামমোহন লাইব্রেরি হলে। এই উৎসব উপলক্ষে প্রকাশিত 'বর্ষামঙ্গল' নামক ১৬ পৃষ্ঠার একটি পুস্তিকাতে মোট ১৮টি গান প্রকাশিত হয়। ওই পুস্তিকাতে এই গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল।
স্বরবিতান পঞ্চদশ (১৫, নবগীতিকা দ্বিতীয় খণ্ড) খণ্ডের (চৈত্র ১৪১৩ বঙ্গাব্দ) গৃহীত মূল স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি ৪।৪ মাত্রা ছন্দে কাহারবা তালে নিবদ্ধ।
রাগ: গৌড় সারং। অঙ্গ: বাউল। তাল: কাহারবা [রবীন্দ্রসংগীত : রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। (প্যাপিরাস, ডিসেম্বর, ২০০৬)। পৃষ্ঠা: ৬৯]
গ্রহস্বর: সা।
লয়: মধ্য।