ওরে পথিক, ওরে প্রেমিক,
বিচ্ছেদে তোর খণ্ড মিলন পূর্ণ হবে।
আয় রে সবে
প্রলয়গানের মহোত্সবে ॥
তাণ্ডবে ওই তপ্ত হাওয়ায় ঘূর্ণি লাগায়,
মত্ত ঈশান বাজায় বিষাণ, শঙ্কা জাগায়—
ঝঙ্কারিয়া উঠল আকাশ ঝঞ্ঝারবে ॥
ভাঙন-ধরার ছিন্ন-করার রুদ্র নাটে
যখন সকল ছন্দ বিকল, বন্ধ কাটে,
মুক্তিপাগল বৈরাগীদের চিত্ততলে
প্রেমসাধনার হোমহুতাশন জ্বলবে তবে।
ওরে পথিক, পরে প্রেমিক,
সব আশাজাল যায় রে যখন উড়ে পুড়ে
আশার অতীত দাঁড়ায় তখন ভুবন জুড়ে—
স্তব্ধ বাণী নীরব সুরে কথা কবে।
আয় রে সবে
প্রলয়গানের মহোৎসবে
॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ:
পাঠভেদ:
গানটি রবীন্দ্রনাথের ৬১ বৎসর ১০ মাস বয়সের রচনা।
ঋতু-উৎসব [বিশ্বভারতী। ১৩৩৩ বঙ্গাব্দ। বসন্ত। সকলের গান। পৃষ্ঠা: ১২৬] [নমুনা]
গীতবিতান-এর পূজা (উপবিভাগ : পথ-২১) পর্যায়ের ৫৭৮ সংখ্যক গান।
বসন্ত (ফাল্গুন ১৩২৯ বঙ্গাব্দ)। ঋতুরাজ'এর গান। রবীন্দ্ররচনাবলী পঞ্চদশ খণ্ড (বিশ্বভারতী)। পৃষ্ঠা ৩৩৯-৪০।
নবীন (ফাল্গুন ১৩৩৭ বঙ্গাব্দ)। প্রথম অভিনয়কালে গানটি ছিল। রবীন্দ্ররচনাবলী দ্বাবিংশ খণ্ড (বিশ্বভারতী)-এর ৮১ থকে ৮ঘ' পৃষ্ঠায় উক্ত পাঠ নবীন' নাটকের পরিশিষ্টে মুদ্রিত আছে। উক্ত পাঠের দ্বিতীয় পর্বে শেষ গান হিসাবে গানটি ছিল। রবীন্দ্ররচনাবলী দ্বাবিংশ খণ্ড (বিশ্বভারতী)'এ- উক্ত গানের শুধু প্রথম চরণটুকু উদাহরণ হিসাবে মুদ্রিত আছে।
স্বরবিতান ষষ্ঠ
(৬, বসন্ত) খণ্ডে (সংস্করণ
চৈত্র ১৪১৩ বঙ্গাব্দ)
২৩ সংখ্যক গান।
বাণী অংশ : পৃষ্ঠা ২৯-৩০।
স্বরলিপি অংশ : পৃষ্ঠা ৯৫-৯৭।
স্বরবিতান ষষ্ঠ (৬, বসন্ত) খণ্ডে (সংস্করণ চৈত্র ১৪১৩ বঙ্গাব্দ) গৃহীত গানটির স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি ৪।৪ মাত্রা ছন্দে কাহারবা' তালে নিবদ্ধ।
গ্রহস্বর-গা।
লয়-দ্রুত।