বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা: ৩০
শিরোনাম: কত যে
তুমি মনোহর মনই তাহা জানে
পাঠ ও পাঠভেদ:
কত যে তুমি মনোহর মনই তাহা জানে,
হৃদয় মম থরোথরো কাঁপে তোমার গানে॥
আজিকে এই প্রভাতবেলা মেঘের সাথে রোদের খেলা,
জলে নয়ন ভরোভরো চাহি তোমার পানে॥
আলোর অধীর ঝিলিমিলি নদীর ঢেউয়ে ওঠে,
বনের হাসি খিলিখিলি পাতায় পাতায় ছোটে।
আকাশে ওই দেখি কী যে- তোমার চোখের চাহনি যে।
সুনীল সুধা ঝরোঝরো ঝরে আমার প্রাণে॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ:
পাঠভেদ:
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান: প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়ের গীতবিতান কালানুক্রমিক
সূচী (২৫ বৈশাখ ১৩৯৯) গ্রন্থে গানটির তারিখ পাওয়া যায়-"পৌষ ১৩২৯ বঙ্গাব্দ"। কিন্তু
প্রশান্তকুমার পাল তাঁর রবিজীবনী অষ্টম খণ্ডে- এই গানসহ আরও কিছু গানের রচনাকাল
নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে লিখেছেন- ‘..তথ্যটি সুনিশ্চিতভাবেই সঠিক নয়’। [পৃষ্ঠা ২৫২]।
রবিজীবনীতে- এই গানের সঠিক তারিখ উল্লেখ করা হয় নি। তবে গানটি যে ১৩২৯ বঙ্গাব্দে
রচিত, এ ব্যাপারে দুজনেই একমত হয়েছেন। এই বিচারে বলা যেতে পারে যে- গানটি
রবীন্দ্রনাথের ৬১ বৎসর বয়সের রচনা।
[দেখুন: ৬১ বৎসর
অতিক্রান্ত বয়সে রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
প্রকাশের কালানুক্রম:
১৩৩১
বঙ্গাব্দের
২৬ ফাল্গুন
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বসন্তবরণের উদ্দেশ্যে 'সুন্দর' নামে একটি নাটিকা রচনা করেন। নাটিকাটিতে মোট ২৪টি গান
ছিল। ঐ বছরের বসন্ত উৎসবে আম্রকুঞ্জে নাটিকাটি পরিবেশনের পরিকল্পনা
থাকলেও, প্রাকৃতিক দু্রযোগের কারণে তা সম্ভব হয়ে উঠে নি। বছর শেষে ১২টি
গান অন্তর্ভুক্ত করে চার ভাঁজ করা মোট আট পৃষ্ঠার একটি বড় কাগজে 'সুন্দর' নামে একটি
অভিনয়পত্র ছাপা হয়। উল্লেখিত গানটি এই ১২টি গানের অন্তর্ভুক্ত ছিলনা।
রাগ: টোড়ি-ভৈরবী। তাল: দাদরা [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬। পৃষ্ঠা: ৪৩]।
রাগ: ভৈরবী, মূলতান। তাল: দাদরা [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমী, জুলাই ২০০১।] পৃষ্ঠা: ৭৯।
গ্রহস্বর: সা।
লয়: মধ্য।
ঙ. স্বরলিপিকার:
চ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী: